অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের কক্ষে সভা এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোঃ হারেজ আলী সদর উপজেলার হরিণধারা গ্রামের মৃত শরাফত আলী মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হরিণধরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বিবাদ ও আদালতে মোকদ্দমা চলে আসছিল। এদিকে বিজ্ঞ আদালত শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অপরদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শনিবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম মুক্তাসহ অপরাপররা বিদ্যালয়েরস অফিস কক্ষে এক সভা আহ্বান করেন।
এসময় ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মোঃ হারেজ আলী তাদের বেআইনীভাবে সভা করার প্রতিবাদ করলে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ শফিকুল ইসলাম মুক্তার নেতৃত্বে অন্যান্য সহযোগিরা মোঃ হারেজ আলীসহ অন্যান্যদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হারেজ আলীর পিটের কাছে ধারালো ফালা দিয়ে আঘাত করে।
পরে গুরুতর আহত মোঃ হারেজ আলীকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সেইসঙ্গে ৫ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আব্দুল করিম। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply