অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টেকসই ও সুসংগঠিত নিরাপত্তা বলয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাগেরহাটে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা হয়েছে। সারাদেশের মধ্যে ৮টি জেলায় পেনশন স্কিম চালু হয়েছে, এর মধ্যে বাগেরহাট জেলা একটি। এই পেনশন সুবিধা চালু করায় খুশি স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময়, বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পেনশন স্কিমে নিবন্ধিত সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন।
এসময় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু, পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হকনহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাট থেকে পেনশন স্কিমে নিবন্ধিত চিংড়ি ঘেরের শ্রমিক শেখ তানজিম বলেন, বৃদ্ধ বয়সে যখন কাজ করতে পারব না, তখন কি করব কিভাবে চলবে, এই নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। সরকারি পেনশনের বিষয়টি শুনে মাসিক ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে সুরক্ষা স্কিমে নিবন্ধন করেছি। স্ত্রী-সন্তানও খুশি হয়েছে। এখন আশার আলো দেখছি, শেষ বয়সে সরকারিভাবে পেনশন পাব এটা ভেবে ভাল লাগছে।
মাসিক ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রগতি স্কিমে নিবন্ধন করেছেন এনজিও কর্মী রিজিয়া পারভীন। তিনি বলেন, বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রচণ্ড কষ্ট করেন। তবে তাদের কোন পেনশনের ব্যবস্থা নেই। তবে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল নাগরিকের জন্য যে পেনশনের ব্যবস্থা করেছেন এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমি নিজে পেনশন স্কিমের জন্য টাকা জমা দিয়েছি। পরিচিতদেরও পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত আসার অনুরোধ করব।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, সারাদেশের মধ্যে ৮টি জেলায় পেনশন স্কিম চালু হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলাকে নির্বাচিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই পেনশন স্কিমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
Leave a Reply