মোঃ জাফিরুল ইসলাম : এ দেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বৃহত্তর খাত হচ্ছে আমাদের কৃষি। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ সালের তথ্যমতে ইহার মোট শ্রমশক্তির ৪০.৬ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে এবং বাকী ১৪.১০ শতাংশ আসে এদেশের জিডিপি হতে। মানুষের বেঁচে থাকার সর্বপ্রথম উপাদান হলো খাদ্যশস্য যা আমাদের কৃষি হতেই আসে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সবজি চাষ কওে তিনি চমক দেখিয়েছেন। নিজের হাতে সবজি বাগান পরিচর্যা করে প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।

থানার পরিত্যাক্ত জমিতে সবজি চাষ করছেন ওসি তার সত্যাতা খুঁজতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা মেলে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা থানার বিভিন্ন অংশে প্রায় ১বিঘা সবজি চাষ করেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সবজি হলো পেয়াজ,রসুন,আলু ,টমেটো,পাতাকপি,ফুলকপি,শালগম,গাজর,পুইশাক,পালন শাক, কলমিশাক, মরিচ,ধনিয়াপাতা, লাও, সিম, মিষ্টি কুমড়ো, পেঁপে, বেগুন, স্ট্রবেরী, সহ নানা রকমের শাক-সবজি। নিয়মিত পরিচর্যা করার ফলে এসব সবজির ফলন বেশ ভালোই হয়েছে। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,সময় অনুযায়ী বিভিন্ন পুলিশ সদস্যরা এই সবজির বাগান পরিচর্যা করে থাকেন। এদিকে থানা পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, সকলের সহযোগীতায় আমাদের ওসি স্যার এখানে বিভিন্ন সবজির চাষ করেছেন। আমি পরিবার নিয়ে থাকি। আমার সবজির চাহিদা অনেকটা এখান থেকে মিটছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,দেশের এক খন্ড জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এবং কৃষি অফিসের সহায়তায় বীজ সংগ্রহ করে এই সবজি বাগান গড়ে তুলেছি। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা জমিতে এই সবজি চাষ করায় আমাদের সবজি কিনতে বাজারে যেতে হয়না। তাছাড়া যারা ঘরে বসে আছেন, তাদেরও ছাদ বাগান করার পরামর্শ দেন এই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা।
তাঁর এমন কর্মকান্ডে উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ জানান, সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আমাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। ওসি স্ব-উদ্ব্যোগে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই সবজি চাষ করে এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান জানান,থানা চত্বরে এরকম ব্যাতিক্রমী সবজি চাষকে আমি সাদুবাদ জানায়। এ ধরনের উদ্যোগ যদি অন্য কেউ গ্রহন করেন আমার কার্যালয় থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা প্রদান করা হবে।