অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে আরও কত সময় লাগবে এর সুনির্দিষ্ট টাইমলাইনের বিষয়ে র্যাব বলছে, মামলার রায় ঘোষণার জন্য প্রতিবেদন জমা দিলে আদালত দেখছেন র্যাবের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ কি না। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কি না। তার প্রেক্ষিতে আদালত র্যাবকে সময় দিচ্ছেন। সেই বিষয়গুলোই র্যাব নিয়মতান্ত্রিকভাবে আদালতে উপস্থাপন করছে।
তার মানে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব না- এমন প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘না’।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আদালত কি র্যাবের তদন্তে সন্তুষ্ট না? এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আদালত মনে করছেন আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ও আরও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য আদালত আমাদের সময় দিচ্ছেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৯৩ বার পিছিয়েছে। আর কতবার পেছাবে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্তের অগ্রগতি হয়েছে। যখনই আমাদের মামলার তারিখ থাকে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে আদালতে কিছু প্রতিবেদন দিতে হয়। তদন্তের যে অগ্রগতি সেই প্রতিবেদন আমরা আদালতে জমা দিয়েছি।
‘আমাদের তদন্তের যে প্রেক্ষাপট এটি হচ্ছে যে, আমরা চাইবো না একজন নিরপরাধ ব্যক্তি ভিক্টিমাইজ হোক। সঠিক তদন্তের জন্যই মূলত বিভিন্ন সময় আদালত কর্তৃক যে সময় দেওয়া হচ্ছে। সে সময়ের প্রেক্ষিতে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে।’
আদালত আপনাদের সময় দিচ্ছেন কেন এবং এই সময় নিয়ে কী করছেন?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, যারা প্রকৃত আসামি, যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য আদালতে বিষয়গুলো সাবমিট করছি। আদালত মনে করছেন এখানে আরও তথ্য পাওয়ার অবকাশ রয়েছে। এখানে আরও তদন্তের অবকাশ রয়েছে। যার প্রেক্ষিতে আদালত আমাদের সময় দিচ্ছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তখন যে আলামত পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনাসহ বর্তমান অবস্থা আদালতকে বলছি; তখন আরও কিছু উইন্ডো থেকে যাচ্ছে বলে আদালত মনে করছেন। যে উইন্ডোগুলো আদালত মনে করছেন আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করা উচিত, আরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ন্যারো ডাউন করে তদন্ত করা উচিত। তার পরিপ্রেক্ষিতেই মূলত আদালত আমাদেরকে সময় দিচ্ছেন।
Leave a Reply