অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাতক্ষীরায় আজ ২৫ নভেম্বর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাজার ব্যবস্থায় ভেজালমুক্ত খাদ্য সরবরাহে ব্যবসায়ীদের দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের একটি রেস্তোরাঁর কনফারেন্স রুমে দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার খাদ্য ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত- এর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে জুম প্লাটফর্মে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব (যুগ্ম-সচিব) শ্রাবন্তী রায়।
এ কর্মসূচিতে জেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মো. আব্দুল্লাহ, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জাহান সুমনা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, সরবরাহ এবং বাজারজাতকরণে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। খাদ্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
জেলায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। কিন্তু ভেজাল ও অনিয়ম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবসায়ীদের মানসিকতার পরিবর্তন অপরিহার্য।
কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, খাদ্যের সঠিক লেবেলিং, যথাযথ সংরক্ষণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা খুবই প্রয়োজন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জাহান সুমনা বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত না হলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে খাদ্যে ভেজাল রোধের কোনো বিকল্প নেই।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত বলেন, নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করা ব্যবসায়ীদের নৈতিক ও আইনগত দায়িত্ব। খাদ্যের প্রতিটি ধাপে সতর্কতা বজায় রাখলে ভোক্তার আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনি জনস্বাস্থ্যও সুরক্ষিত থাকবে।
জুম প্লাটফর্মে যুক্ত বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচিব (যুগ্ম-সচিব) শ্রাবন্তী রায় বলেন, খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাঠপর্যায়ে ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষিত ও সচেতন করলে খাদ্যে ভেজাল রোধ সম্ভব।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের জন্য হাইজিন, লাইসেন্স, লেবেলিং, সঠিক সংরক্ষণ ও বিপণন পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়।