অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল থেকে সৃষ্ট বন্যায় সিরাজগঞ্জে কৃষকদের প্রায় ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার ১২৬ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে পাট, তিল, কাঁচামরিচ, পোটল, আউশ, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখন পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলায় এবারের বন্যায় ৩৭ হাজার ৪৬ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিন সপ্তাহের এ বন্যায় জেলায় ৬ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ৩ হাজার ১৮৫ দশমিক ১ হেক্টর ফসলি জমি। এসব ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ৩ হাজার ১২৬ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া এলাকার কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছিলেন। বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সংসার কীভাবে চালাবে এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ হলো যমুনা নদীর পানি কমছে। এ মুহূর্তে আর বন্যার পানি বাড়ার কোনো পূর্বাভাস নেই বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে জেলা স¤প্রসারণ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা করা হয়। এবারও সহায়তা প্রদানের কথা জানান তিনি।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং কৃষকদের সহায়তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে। সহায়তা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা কিছুটা উপকৃত হবে।
Leave a Reply