অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও দারা প্রদেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে এটিই ইসরাইলের সর্বশেষ হামলা।
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা (সানা) জানিয়েছে, আজ (মঙ্গলবার) ভোরে দামেস্কের কাতানা শহরের সামরিক স্থাপনাগুলোতে বেশ কয়েকটি হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া, দামেস্ক থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত আল-কিসওয়াহ শহরে সামরিক স্থাপনা এবং প্রথম ডিভিশন কমান্ডকে লক্ষ্য করে কমপক্ষে আরও সাতটি হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, গতকাল (সোমবার) রাতে দারা প্রদেশের উত্তরে জাবাব শহরের আশেপাশের এলাকায় সিরিয় সেনাবাহিনীর আর্টিলারি রেজিমেন্ট ৮৯-এর একটি সামরিক অবস্থানে কমপক্ষে ছয়টি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। একই প্রদেশের ইজরা’আ শহরের ১২তম ব্রিগেড ঘাঁটিতে কমপক্ষে আরও আটটি হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১৪ জানিয়েছে, বিমান হামলায় আল-আসাদ সরকারের সেনাবাহিনীর ফাঁড়ি, অস্ত্রের ডিপো, রাডার, ট্যাংক এবং কামান লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যেগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ‘দখল করার চেষ্টা করছে’।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর অনুসারে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ৫০০ টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং এই বছর এখন পর্যন্ত ২১টি নথিভুক্ত হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মাসে বলেছিলেন, দক্ষিণ সিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বেসামরিকীকরণ করতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার সরকার ইসরাইলি ভূখণ্ডের কাছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে দামেস্কে নতুন সরকারের বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না। এছাড়া বাশার আল-আসাদের অপসারণের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৯৭৪ সাল থেকে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে বাফার জোনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এবং অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে।