অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রুশ বাহিনী একটি ইউক্রেনীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে যারা ইউক্রেনের সীমান্তে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল এবং কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। রুশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এ লড়াইয়ের খবর দিয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছর আগে মস্কো ইউক্রেনে কয়েক হাজার সেনা পাঠানোর পর থেকে রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল ক্রমবর্ধমান উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যাকে এটি একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় এখন নিয়মিত গোলাগুলি ও বিচ্ছিন্ন নাশকতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবা এফএসবি রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, তাদের সেনারা ‘ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের একটি সশস্ত্র দল’ যারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ করেছিল তাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয়দের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।
বোগোমাজ টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘আজ ইউক্রেনের একটি নাশকতাকারী ও সেনাবাহিনীর জন্য খোঁজখবর গ্রহণকারী গোষ্ঠী লুবেচানিয়া গ্রামের ক্লিমোভস্কি জেলায় অনুপ্রবেশ করে। নাশকতাকারীরা চলন্ত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাদের হামলায় একজন বাসিন্দা নিহত এবং একটি ১০ বছরের শিশু আহত হয়েছে।’
সীমান্তের কাছাকাছি অন্যান্য এলাকায় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে বলেও জানান তিনি। কিন্তু রয়টার্স এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
বুধবার (১ মার্চ) ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, রাশিয়ান বাহিনী ব্রায়ানস্ক অঞ্চল থেকে ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর ইউক্রেনে অবস্থিত অঞ্চলটি অন্যান্য রাশিয়ান হামলার স্থানগুলোর তুলনায় কিয়েভের কাছাকাছি।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার দুইটি গ্রামে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে একটি গ্রামে তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মিও করেছে। রিয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সীমান্ত থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরে লুবেচানিয়া গ্রামের একটি দোকানে বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
রাশিয়া এর আগে ব্রায়ানস্কে অনুপ্রবেশের জন্য ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের দ্বারা বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে। গত ডিসেম্বরে এফএসবি জানিয়েছিল, ব্রায়ানস্কে প্রবেশের চেষ্টাকারী চার সদস্যের ‘নাশকতাকারী গ্রুপ’ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল।
কয়েকদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ্ফএসবিকে জানিয়েছিলেন, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ইউক্রেন ও পশ্চিম থেকে আসা সন্ত্রাসী হামলার হুমকি মোকাবেলার জন্য বর্ধিত নিরাপত্তা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘আপনার কাজ হলো নাশকদের পথে দাঁড়ানো, রাশিয়ায় অস্ত্র ও গোলাবারুদের অবৈধ সরবরাহ বন্ধ করা।’