অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আসা পাকিস্তানি নারী মাহা বাজোয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে চুনারুঘাট শহরের বড়াইল এলাকার স্বামী সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তিনি চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চুনারুঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, মারধরের অভিযোগ এনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন মাহা বাজোয়া। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য শুনেছে। আমার বিষয়টি তদন্ত করছি।
মাহা বাজোয়াকে মারধরের প্রসঙ্গে তার আইনজীবী হবিগঞ্জ জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বলেন, আজ সকালে তাকে মারধর করা হয়েছে। আমরা মামলাার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মাহা বাজোয়া স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে চুনারুঘাটে সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে যান। আজ তাকে মারধর করা হয়েছে। যেহেতু মাহা একজন বিদেশি নাগরিক। তাকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালতে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির মামলা করেন পাকিস্তানি নারী মাহা বাজোয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তানের লাহোর প্রদেশের মুলতান রোডের সাকি স্ট্রিট সৈয়দপুরের বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে মাহা বাজোয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে দুবাইয়ে সাজ্জাদ হোসেন তালুকদারের পরিচয় হয়। পরে তারা ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েও করেন। তাদের জান্নাত নামে আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
২০১৮ সালে সাজ্জাদের বাড়িতে কয়েক মাস অবস্থান করেন মাহা। পরে পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। গত ১৭ নভেম্বর মাহা বাজোয়া পাকিস্তান থেকে স্বামীর বাড়ি চুনারুঘাটে আসেন। এ সময় সাজ্জাদ স্ত্রীর প্রতি অবহেলা করার পাশাপাশি ব্যবসা করার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। গত ৮ ডিসেম্বর যৌতুকের ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় মাহা বাজোয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেন সাজ্জাদ। পরে মাহা বাজোয়া বাদী হয়ে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্বামী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
Leave a Reply