অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের ৪৮ দিনের পাশবিক হামলা সত্ত্বেও সংগঠনটির সামরিক কমান্ডাররা ‘অত্যন্ত ভালো অবস্থানে’ রয়েছেন। হামাস আরো বলেছে, ৪৮ দিন ধরে বর্বরতা চালিয়ে তেল আবিব গাজায় তার একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি।
গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে গতকাল (শনিবার) হামাসের প্রবাসী নেতা ও সাবেক পলিটব্যুরো প্রধান খালেদ মিশাল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “গাজা যুদ্ধে কিছু যোদ্ধা ও কমান্ডার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন শহীদ হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তারা কেউ ফ্রন্ট লাইনে ছিলেন না। তবে প্রতিরোধ সংগঠনের অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত ভালো কারণ, তাদের সমরাস্ত্র, টানেল ব্যবস্থা এবং কমান্ডাররা অক্ষত রয়েছেন।”
খালেদ মিশাল বলেন, “ইহুদিবাদী শত্রু গাজা যুদ্ধে তার একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি। তারা উত্তর গাজা থেকে কিছু লোককে দক্ষিণ গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু উত্তরের বেশিরভাগ মানুষ তাদের ঘরবাড়িতেই অবস্থান করেছেন।”
হামাসের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলন ‘একটি দীর্ঘ-সময়ের জন্য’ যুদ্ধ করার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। তাবে তারপরও গাজা যুদ্ধ বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খালেদ মিশাল বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি বেদনাদায়ক হলেও তা প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরকে আগ্রাসী সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলের পক্ষ থেকে তৈরি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধ শেষে এই উপত্যকার শাসনব্যবস্থা কোনো অবস্থাতেই ইসরাইলের অনুকূলে যাবে না।
গাজা উপত্যকা শাসনকারী হামাসকে ধ্বংস করে তাদের হাতে আটক বন্দিদের মুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে সেখানে ৭ অক্টোবর থেকে আগ্রাসন শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। কিন্তু ৪৮ দিনের বিমান হামলা ও ২৮ দিনের স্থল অভিযান শেষেও লক্ষ্য অর্জনে কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে বন্দিদের মুক্ত করার জন্য হামাসের সঙ্গে চুক্তি করতে বাধ্য হয় ইসরাইল। এছাড়া, ইসরাইল ও আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছিল, যুদ্ধ শেষে ‘হামাস-উত্তর’ গাজায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলি সেনা মোতায়েন থাকবে এবং সেখানে ইসরাইল-বিদ্বেষী কোনো গোষ্ঠীকে শাসন করতে দেয়া হবে না। এই দুই ঘোষণার কথা এখন গণমাধ্যমে কম প্রচার করা হয় কারণ, দৃশ্যত ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের এমন আশা ফিকে হয়ে এসেছে। #
Leave a Reply