অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আলামত পাঠিয়ে দুই সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা মিললেও তাদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। তাই আটকে আছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। এমন তথ্য জানিয়েছেন এ মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আল মঈন।
আজ (সোমবার) ঢাকার কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলছেন, সন্দেহভাজন দু’জনের পরিচয় বেরিয়ে এলেই র্যাবের তদন্ত এগিয়ে যাবে। তবে কবে নাগাদ সেটা সম্ভব, তার কোনো ধারণা তিনি দিতে পারেননি র্যাব পরিচালক।
প্রায় ১২ বছর আগের এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে সোমবার শততম বারের মত সময় বাড়িয়েছে আদালত। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে ডিএনএ স্যাম্পল পাঠানো হয়েছিল। ওখান থেকে আসা প্রতিবেদনে দুজন সাসপেক্ট এর নমুনা পাওয়া গেছে। এই দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। র্যাব ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে’ এ মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্দোষ কেউ যেন কোনোভাবে অভিযুক্ত হিসেবে জড়িয়ে না যান, সেই ব্যাপারটিও তদন্তে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এলিট ফোর্স র্যাব।
এজন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে গেল সাড়ে ১১ বছরেও বেশি সময়ে একশ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন।
তবে বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান মনে করেন, হত্যাকারীরা প্রভাবশালীদের খুব ঘনিষ্ঠ। যে কারণে প্রায় একযুগে অপরাধী শনাক্ত করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্ত তৎপরতায় সম্পৃক্ততা বাড়ালে এ মামলার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
Leave a Reply