অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মানিকগঞ্জে রোববার (৪ আগস্ট) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তায়েবুর রহমান ওরফে টিপু মারা গেছেন। রোববার রাতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত তায়েবুর রহমান মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয়) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের চাচা। নাঈমুর রহমান দুর্জয় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টার দিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মানরা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও জনতার সঙ্গে যোগ দেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাফিক বক্সসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করেন। এরপর পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। এরপর আন্দোলনকারীরা কিছুটা পিছু হটেন। এর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করেন। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। পরে আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া করেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের নেতা তায়েবুর রহমানের মাথায় আঘাত লাগে। বিক্ষোভকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন।
গুরুতর আহত তায়েবুর রহমানকে জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
Leave a Reply