অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নওগাঁ জেলায় উন্নত জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া সব মানুষের একটি উপাদেয় এবং সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি। নওগাঁ সদর উপজেলার কিত্তীপুর ইউনিয়নের কির্ত্তীপুর, হরিরামপুর, মাধাইনগর ও শালুকান গ্রামের মাঠগুলোতে কুষকরা ব্যপকভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এসব গ্রামের মাঠে মাঠে কেবলই মিষ্টি কুমড়ার জাংলা। যতদুর চোখ যাবে শুধুই এ ফসলের চাষ। জাংলার উপরে সবুজ লাউয়ের ডগা। আর জাংলার নিচে শুধু লাউ আর লাউ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি ভরিপ-১/২০২৩-২০২৪ এর আওতায় নওগাঁ জেলায় মোট ৪৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল নওগাঁ সদর উপজেলার এ এলাকায় চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর জমিতে। ফেব্রুয়ারী/ মার্চ মাসে জমিতে মিষ্টি লাউয়ের চারা রোপণ করতে হয়। আর জুলাই মাস থেকে ফসল বাজারজাত করন শুরু হয়।
মিষ্টি লাউ একটি লাভজনক ফসল। জাংলা তৈরী, কুমড়ার জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি কুমড়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার প্রতি কেজি ২৫ টাকা হিসেবে ২ হাজার কেজি লাউয়ের বিক্রি মুল্য ৫০ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে সমুদয় খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০- হাজার টাকা লাভ করতে পারেন
মাধাইনগ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র এনামুল হক তাঁর আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি এ মওসুমে প্রায় ৫ হাজার কেজি কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী তিনি কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। একই ভাবে হরিরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মুকুল তাঁর দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়া । তিনি তাঁর এ দেড় বিঘা জমি থেকে কুমড়া বিক্রি করে প্রায় লাভ করবেন প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন খরিপ-১ এর আওতাভুক্ত এটি একটি উপাদেয় এনপ্রিয় সবজি। এটি ভিটামিন, প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ একটি সবজি। মানুষের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এ ফসল মোটামুটি লাভজনক হওয়ায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে উৎসাহিত করে।
Leave a Reply