অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের একাধিক সাবেক মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার পৃথক চার আদালতে আরও চারটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৩ আগস্ট রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দুলাল ওরফে সেলিম নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি হয়।
নিহতের ভাই মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এই মামলা করেন।
গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরের বসিলায় বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশনের মেশিন অপারেটর মনসুর মিয়া নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি হয়।
নিহতের ভাই আইনাল হক বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাহেশ চৌধুরীর আদালতে এই মামলা করেন।
গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ডেমরা এলাকার সানারপাড়ে মিরাজ হোসেন নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলাটি হয়। নিহতের ভাই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে এই মামলা করেন।
গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বরে নাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলাটি হয়। নিহতের ভাই সবুজ বাদী হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এই মামলা করেন।
ঢাকায় নতুন তিন মামলাসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা এখন ৭০টি। এগুলোর মধ্যে হত্যার ৬০টি, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার সাতটি, অপহরণের দুটি এবং বিএনপির মিছিলে হামলার একটি মামলা রয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন তিনি। এরপর থেকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ে কাজ শুরু করেন। চিত্রনায়ক ফারুক মারা গেলে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত। ২০২৩ সালের অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে হিরো আলমকে কারচুপির মাধ্যমে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন তিনি।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত। এ নির্বাচনে ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্পধারা বাংলাদেশের আইনুল হক পান ১ হাজার ৩৮০ ভোট। গত ১১ জানুয়ারি নবগঠিত মন্ত্রী সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।