অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ এবং গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী হামলার পর থেকে ইউরোপীয় ৭টি বড় অস্ত্র কোম্পানির পাশাপাশি আমেরিকার অস্ত্র উত্পাদনকারী কোম্পানিগুলোও লাভ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
ইউক্রেন এবং গাজা যুদ্ধের পর গত আড়াই বছরে আমেরিকা ও ইউরোপের প্রধান প্রধান অস্ত্র নির্মাতাদের বাজার মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, এই দেশগুলো একদিকে তাদের মুনাফা এবং অস্ত্র নির্মাণ শিল্প বৃদ্ধির কথা ভাবছে, অপরদিকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বিসহ মানবিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে গাজাবাসী। গাজা এখন দুর্ভিক্ষের দিক থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ একটি ভূখণ্ড।
আর্থিক ও কৌশলগত অ্যাডভাইজরি ইনস্টিটিউট ‘অ্যাকিউরেসি’ জানিয়েছে, তাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এই শিল্পে আমেরিকার ৭টি প্রধান কোম্পানি এবং তাদের ইউরোপীয় সহযোগীদের কর্মতৎপরতা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে, যখন গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ শুরু হয়েছিল। সেই থেকে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক পর্যন্ত অস্ত্র নির্মাণ শিল্প কারখানার তৎপরতা বেড়ে যায়।
এই ৬ মাসে সামরিক শিল্পের ১৪টি কোম্পানির বৈশ্বিক মূলধন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবল তাদের শেয়ারের মূল্যই নয়, লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণও বেড়েছে।
২০২২ সালের প্রথম ৩ মাসে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীরা ১.৪ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের ইউরোপীয় কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছে। বিগত ৮টি আর্থিক ত্রৈমাসিকের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ সংখ্যক লেনদেন। ২০২৩ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর শেয়ারের লেনদেন রেকর্ড ১.০৩ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে, যা পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ ও সহিংসতা বৃদ্ধির ফল।
এই সেক্টরে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য তাদের উত্তর আমেরিকার সমকক্ষের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল (৩১ শতাংশের মোকাবেলায় ১২৯ শতাংশ)। বিশ্লেষকরা বলছেন আমেরিকায় এই বৃদ্ধির ঘটনা আগে থেকেই শুরু হয়েছিল, ইউরোপে ঘটেছে পরে।
Leave a Reply