অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে মুহুরী নদীর উজানে ভারতীয়রা বাঁধ কেটে ফেনী জেলায় ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি এবং বৈষম্যের প্রতিবাদে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে ট্রাঙ্ক রোডে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘আমরা ফেনীবাসী’ ব্যানারে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক পরিবেশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাপার যুগ্ম-সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম, দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, নারী নেত্রী নুর তানজিলা রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসাইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর সমন্বয়ক আব্দুল আজিজ, সমাজকর্মী ফজলুল হক, আমের মক্কি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ইমাম হোসেন, কবি ও সমাজকর্মী আলাউদ্দিন আদর।
আমরা ফেনীবাসীর উদ্যোক্তা বুরহান উদ্দিন ফয়সালের সঞ্চালনায় আবদুল্লাহ হাসানের ব্যবস্থাপনায় ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন- সুজন ফেনী জেলার সম্পাদক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল।
কর্মসূচিতে আন্তঃসীমান্তীয় সব নদী থেকে ড্যাম-ব্যারেজ অপসারণ করা, ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধ কেটে দেওয়ায় জাতিসংঘের সহায়তায় ভারতকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা, কেটে দেওয়া বাঁধটি অবিলম্বে পুনঃনির্মাণ করা, বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত, ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে পানি উত্তোলন বন্ধ করা, বন্যায় কৃষি, মৎস্য, পোল্ট্রিসহ অন্যান্য খাতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ সৃষ্টি, মুছাপুর ক্লোজার পুনঃনির্মাণে পদক্ষেপ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভরাট করা খাল ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
কর্মসূচিতে ইয়ুথ নেট গ্লোবাল, ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার, মির্জা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, লস্করহাট ব্লাড ডোনেশন ক্লাব, প্রয়াস, ফেনী ফ্লাড রেসপন্স টিম, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, গ্রিন ভয়েস, ইকো রিভোলুশন, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) আমরাই আগামীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply