ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে ঝিনাইদহের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছে কর্মসূচী থেকে। শুক্রবার সকালে শহরের পায়রা চত্বরে উদীচি ও সমমনা সাংস্কৃতিক সংঠনের কর্মীরা মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। এসে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উদীচিসহ জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেয়। সেসময় বক্তব্য রাখেন, উদীবি শিল্পী গোষ্টি জেলা শাখার সভাপতি শরিফুল ইসলাম, উপদেষ্টা স্বপন বাগচী, গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি আব্দুস সালাম, সাংস্কৃতিক কর্মী তারিকুল ইসলাম পলাশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সমন্বয়ক নুসরাত জাহান সাথীসহ অন্যান্যরা।
সেসময় বক্তারা, দেশের জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহŸান জানান। পরে এর প্রতিবাদে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : একটি পক্ষের সুবিধা নিয়ে রাজনৈতিক ভাবে অন্যদের ঘায়েল করতে বর্তমানে সক্রিয় একটি চক্র। শুধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গই না, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি, উন্নয়ন কর্মী এমনকি সংবাদকর্মীও বাদ যাচ্ছে না এসব দুস্কৃতিদের হাত থেকে। নামে বেনামে আইডি খুলে ফেসবুকে মিথ্যাচার করে মান ক্ষুন্ন করা হচ্ছে অনেকের। ফেইক আইডি হওয়ায় অনেক সময় ধরাছোয়ার বাইরেই থাকছে এসব জালিয়াত চক্র ও তাদের ইন্ধনদারা। সম্প্রতি নয়ন চ্যাটার্জী নামের এক ফেসবুক আইডি দিয়ে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর থেকে বাদ যায়নি জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানু, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকরাও। গত ১ বছর ধরে ঝিনাইদহের মানুষের নামে ফেসবুকে এমন মিথ্যাচার করছে ওই দুস্কৃতিকারী।
সম্প্রতি জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি রোকনুজ্জামান রানুর নামে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে আওয়ামী লীগ বানোনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোকনুজ্জামান রানু ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট এম.এ.মজিদ ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস থাকা কালে রোকনুজ্জামান রানু ছাত্রদলের বিভিন্ন কমিটিতে ছিলেন। ১৯৮৬ সালে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হয় রানু। ১৯৯০-৯১ সালে বাস মালিক সমিতির সদস্য পদে অধিষ্ট হন তিনি। ১৯৯৮ সালে সর্ব্বোচ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে ছিলেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সদর আসনের এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকী সমির নেতৃেত্ব দখল করতে গেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্বকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এখন পর্যন্ত প্রশাসকের নিয়ন্ত্রনে চলছে। এখানে একটি সীমিত সংখ্যাক পরিচালক কমিটি আছে। সেই কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি কাজ করছেন। সাইদুল করিম মিন্টু সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন তিনি সভাপতি ছিলেন। । ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের পর সাইদুল করিম মিন্টু আর বাস মালিক সমিতিতে আসেননি।
শুধু তাই নয়। পারিবারিক ভাবেও রোকনুজ্জামান রানু বিএনপির সাথে জড়িত। রোকনুজ্জামান রানুর আপন বড় মামা কুষ্টিয়া সদর আসনের বিএনপির থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন। এছাড়া শৈলকুপা উপজেলার ১৪ নং দুধসর ইউনিয়নের বিএনপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান রোকনুজ্জামান রানুর আপন কাকা। ঝিনাইদহ আইনজীবি সমিতির বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাকারিয়া মিলনের ভাই রোকনুজ্জামান রানু।
গত ৩ সেপ্টম্বর ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর সিটি কলেজে একটি শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো সেখানে আরাপপুরের এলাকার সবাই উপস্থিত ছিলেন। জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমএ মজি, জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ^াস ও জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টুসহ আরপপুরের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয় এখানে আরাপপুরের বিভিন্ন ব্যসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে রানু বলেন, আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে ঝিনাইদহে কোন ঠিকাদারী কাজ করেনি। আমি লাইসেন্স দিয়ে কোন কাজ নেইনি। বাস মালিক সমিতিতে সাইদুল করিম মিন্টু থাকার কারনে যতটুকু দরকার ততটুকু সম্পর্ক ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমি যেহেতু পরিবহন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। সেহেতু মালিকরা আমাকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করেছিলেন। সেই কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে তার সাথে যে সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন সেটার বাইরে কিছু ছিলো না।
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এমএ মজিদের উপর ঈশ^ানিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল রোকনুজ্জামান রানুকে নিয়ে ভুয়া ও ফেক ফেসবুক আইডি থেকে এসব ছড়ানো হচ্ছে। এতে করে উভয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য কুচক্রি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমি ভুয়া ফেসবুক আইডির মালিকসহ এর পেছনে যারা আছে তাদের খুজে বের করে আইনরে আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি। আমার নামে ফেসবুকে যেসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শৈলকুপায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটর সাইকেল চালক নিহত ; আহত–১
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপার দুধসর আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনের সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় পিয়াস মোল্লা (২৪) নামের এক মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় আহত হয় মোটর সাইকেলের যাত্রী পার্থ কুমার। নিহত পিয়াস উপজেলার আউশিয়া গ্রামের জাকির মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, পিয়াস মোল্লা শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার থেকে মোটর সাইকেলে বন্ধু পার্থ কুমার কে নিয়ে গাড়াগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের দুধসর আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে পৌছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। সেসময় রাস্তায় পড়ে তারা গুরুতর আহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: ফারজানা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিয়াস এর মৃত্যু হয়। ধারনা করা হচ্ছে তার মাথা, মুখে আঘাত এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে। আহত পার্থ কুমারের অবস্থা আশংকাজনক।
ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখল করে গাছ কাটার অভিযোগ, থানায় অভিযোগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়ীবাথান গ্রামে স্কুল কর্মচারীর জমি জোরপুর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়েছে ওই ভুমিদস্যু। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ীবাথান গ্রামের দর্গাপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্স স্কুলের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল আলম খালেক জানানা, পৈত্রিক সুত্রে তিনি গ্রামের ৪০ শতক জমিতে ৫০ বছর ধরে আবাদ করে আসছেন। একই মৌজার এই জমিতে বনজ গাছ, ফসল ছিলো। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু দরবেশ মন্ডলের ছেলে শাজাহান ওই জমি নিজেদের দাবী করে বৃহস্পতিবার বিকেলে লোকজন নিয়ে জমি দখল করে। জমিতে থাকা ১০ টি গাছ ও ফসল নষ্ট করে দিয়েছে।
রফিকুল আলম খালেক বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে আবাদ করছিলাম। গায়ের জোরে এই জমি দখল করে নিয়েছে। এখন আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলায় হেরে যাওয়ার পর এখন জোর করে জমি দখল করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply