অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ গণহত্যার শিকার গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ছবিতে যতটা দেখা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছেন একজন মার্কিন চিকিৎসক।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্যে জানা গেছে, এই উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা অন্তত তিন হাজার ৫২৪টি হামলা চালিয়েছে এবং এসব হামলায় প্রায় ৪১ হাজার গাজাবাসী শহীদ হয়েছেন। আর এসব হামলায় ঘরবাড়ির নীচে চাপা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, শহীদ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৮৯ জন শিশু যাদের মধ্যে আবার ১১৫ জন দুগ্ধপোষ্য শিশু। এই ১১৫ জনের জন্ম হয়েছিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই তাদেরকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে।
এ সম্পর্কে আরব বংশোদ্ভূত মার্কিন এনেস্থেসিওলজিস্ট আহমাদ ওবায়েদ সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন। তিনি নিজের সামাজিক পেজগুলোতে একটি ভিডিও প্রকাশ করে লিখেছেন: “আপনারা হয়তো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কিংবা আল-জাযিরার মতো চ্যানেলগুলোতে লাইভ সম্প্রচারে এ ধরনের ভিডিও দেখে থাকবেন। কিন্তু টেলিভিশনের পর্দায় কিংবা কম্পিউটারে আপনারা যা দেখতে পান গাজার প্রকৃত বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।”
এই মার্কিন চিকিৎসক আরো বলেন: “আপনারা যখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এসব ভিডিও বা ছবি দেখেন তখন আপনাদের অবচেতন মনে একথা জাগতে থাকে যে, ক্যামেরাম্যানরা শুধু গাজার ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গাগুলোর ভিডিও করে অথবা তাদের কাজই খারাপ জায়গাগুলো দেখানো। তবে আমি বলব, সামাজিক মাধ্যম বা নিউজ চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ছবিগুলো খারাপ দেখা যেতে পারে ঠিকই, কিন্তু আমার ধারনাই ছিল না যে, গাজার বাস্তব পরিস্থিতি এর চেয়ে শত গুণ বেশি খারাপ। আমি গাজার ধ্বংসযজ্ঞ নিজের চোখে দেখে হতভম্ব হয়ে গেছি। মানুষ এখন আমার কাছে গাজার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা জানতে চায়।”
এদিকে ডক্টর্স উইথআউট বর্ডার্স বলেছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন অত্যন্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ইসরাইলি সেনারা হাসপাতালসহ অন্যান্য চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো অবরোধ করে রেখেছে এবং অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। দখলদার সেনাদের গুলিতে আহত ফিলিস্তিনিদেরকে তারা চিকিৎসাসেবা নিতে দিচ্ছে না।
Leave a Reply