অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিখ্যাত আরব বিশ্লেষক আব্দুলবারী আতাওয়ান সামরিক শিল্পে ইরানের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন: “রাশিয়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর জন্য ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা যে অভিযোগ করেছে তা থেকেই ইরানের সামরিক অগ্রগতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর গভীর উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র খাতে ইরানের অভাবনীয় উন্নতিকে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে আমেরিকা ও ন্যাটোর জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে। পার্সটুডে জানিয়েছে, আরব বিশ্লেষক আব্দুলবারী আতাওয়ান দৈনিক “রাই আল ইয়াওম” পত্রিকায় একটি নিবন্ধে, রাশিয়ায় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে মার্কিন সংবাদপত্র “ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল” এর উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন: “এটা আশ্চর্যজনক যে ইরানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগটি এমন সময় উত্থাপিত হলো যখন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইউক্রেনে সর্বশেষ ২৫ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্রের চালান সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।
এই নিবন্ধে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধির বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে আতাওয়ান আরো বলেন: “জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি “ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে” প্রকাশিত সংবাদকে জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইরানের প্রতিনিধি এ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন অভিহিত করে বলেছেন, আমেরিকা, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড এসব মিথ্যা খবর প্রচার করছে।”
আরবের খ্যাতনামা বিশ্লেষক তার এই নিবন্ধে জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধির বক্তব্য উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে, ইউক্রেনে পশ্চিমাবিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর কারণে এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
তার মতে, মার্কিন সরকার মস্কোকে টার্গেট করে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চাইছে যাকে মস্কো তার জন্য রেডলাইন বলে এর বিরোধিতা করেছে।
আতাওয়ান আরও লিখেছেন: এটা অনেক বড় ভণ্ডামি যে ইউক্রেনে এফ-16 ফাইটার, প্যাট্রিয়ট মিসাইল এবং নতুন ট্যাঙ্কসহ কোটি কোটি ডলারের আধুনিক অস্ত্র পাঠানো হালাল কিন্তু একই কাজ অন্যদের জন্য অপরাধ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
এই আরব বিশ্লেষক গাজায় ইসরাইলের অপরাধের প্রতি সমর্থনের কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার অবস্থানের অবনতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইহুদিবাদী লবিং গ্রুপের ভয়ে মার্কিন সরকার গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সর্বশেষ, আতাওয়ান আমেরিকার যুগ শেষ হয়ে আসছে উল্লেখ করে লিখেছেন: বিশ্বে নতুন বহুমেরু কেন্দ্রিক শক্তির উত্থান ঘটেছে যেখানে আমেরিকার অবস্থান ফ্রান্স, পর্তুগাল, বেলজিয়াম ও ব্রিটেনসহ অতীতের ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর মতো পরিণতি ভোগ করতে হবে।
Leave a Reply