21 Sep 2024, 08:47 pm

আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে : ড. বদিউল আলম মজুমদার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডস্কে :  নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও  সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ না করলেও সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।

ঐ বক্তব্য দেওয়ার পর সংগঠনটিকে আর ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন)  না বলে এখন থেকে ‘কুশাসনের জন্য নাগরিক’ (কুজন)-নামে ডাকলেই মানানসই হবে। যেমন ধনী লোকের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেয়ে বিয়ে করলে হয় “লাভ ম্যারেজ”, আর গরীর লোকের মেয়ে বেরিয়ে যেয়ে বিয়ে করলে হয় ‘কোর্ট ম্যারেজ’। ঐ বক্তব্যের পর বোঝা গেল তারা কত বড় নিরপেক্ষ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এফডিসিতে “গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদ” বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি কিভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিরাও ভোট প্রদান করেছে। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। শিশুরাও ভোট দিয়েছে। আমি আর ডামি প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছিল। একই ব্যক্তি ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। বার বার ভোট দিয়েছে। ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিলো। ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।

ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন:

১. নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের পর একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনি রোডম্যাপ জাতির সামনে ঘোষণা করা।
২. অভিজ্ঞ, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। যারা কোনো চাপে বা লোভে মাথানত করবে না।
৩. ততত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দ্বারা জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন বিধান রাখা।
৪. বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সমম্বয়ে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সংসদে উচ্চকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা।
৫. ইভিএম এ ভোট প্রদানে কারচুপির শঙ্কা বেশি থাকায় এবং ইতঃপূর্বে ইভিএম এ ভোট জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় পেপার ব্যালট এর মাধ্যমে ভোট আয়োজন করা।
৬. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে সদ্য ঘোষিত কমিশনকে এজেন্ডা ভিত্তিক রাজনৈতিক দলসহ নাগরিক সংগঠন গুলোর সাথে সংলাপের আয়োজন করা।
৭. দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী, ব্যাংক লুটেরাসহ ঋণ খেলাপিরা কোনোভাবেই যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই জন্য কঠিন আইনের বিধান রাখা। ৮. পরপর দুই টার্মমের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারার বিধান রাখা।
৯. একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
১০. বিগত কয়েকটি নির্বাচনকে যেসব কমিশন বা যারা বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার বিধান তৈরি করা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 4036
  • Total Visits: 1076523
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1627

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল)
  • ১৮ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ৮:৪৭

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
      1
23242526272829
30      
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018