ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদরের আলমখালী মহা-সড়কের সরকারি রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাগুরা সদর থানা অধিন ১০৫ সাচানী রাউতড়া মৌজার সিএস খতিয়ান ৩৯, এসএ খতিয়ান ২৪, দাগ নং ১৬০৮ এর ১১ শতক জমি নিয়ে বিরোধ। সিএস রেকর্ডিও মালিক, রায়তি দং অভয়চরন মন্ডল, এসএ রেকর্ডিও মালিক দং মকবুল বিশ্বাস এবং আরএস রেকর্ড রয়েছে মাগুরা সড়ক ও জনপথ এর নামে।
ঝিনাইদহ – মাগুরা মহাসড়ক সংলগ্ন ১২ রুম বিশিষ্ট মার্কেট দখল সূত্রে মালিক রয়েছে ৫ নং হাজরাপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, সিরাজুল মন্ডল, বাঁশি সিকদার, আসাদুজ্জামান এবং শান্তি রাম। মহাসড়কের পাশে নির্মিত এই মার্কেটটি গত ৫ আগস্ট তারিখে ভেঙে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মার্কেটটি নতুন করে নির্মাণ করতে গেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায় স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সদর থানার এসআই ইব্রাহিম উভয়পক্ষকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
৫নং হাজরাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সাচানী রাউতড়া মৌজার সাবেক ১৬০৮ দাগ, হালদাগ -২৭৩৪ নং মাগুরা – ঝিনাইদহ মহাসড়কের, অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমি। ১৯৩৯ সালে দি কলকাতা গ্যাজেটের মাধ্যমে মহা- সড়কের জমি অধিগ্রহণ করে। উক্ত অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমির দাগ ১৬০৯ আমার জমি। আওয়ামী সরকারের শাসনামলে কোর্টের আইন কে নিজের মতো সাজিয়ে জোর করে ১২ টি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া বাণিজ্য চালাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা। মানুষের সুবিধার জন্যই রাস্তা নির্মাণ করে সরকার। ভবিষ্যতে পাকা রাস্তা প্রশস্ত করণে এই ভবন অনেক বড় বাঁধা হয়ে দাড়াবে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার উপর থাকা ভবনের অংশ বিশেষ অপসারণের দাবি জানান তিনি।
এদিকে ৫ টি রুমের মালিক মোঃ আসাদুর জামান বলেন, ১৯২৪ সালের সিএস রেকর্ডীও মালিক অভয়রচরন, বানীকান্ত এবং (৬২সালের রেকর্ডী) ১১ শতাংশ জমি অভয়চরনের উত্তরসূরী মতিলাল এর নামে। আরএস রেকর্ড মাগুরা সড়ক ও জনপদ এর নামে হওয়ায়। মতিলালের ছেলে জয়গোপাল মাগুরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনাল আদালতে নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) এলএসটি মামলা করে। নিম্ন আদালত জয়গোপাল এর পক্ষে রায় দিলে, সড়ক ও জনপথ অফিস উচ্চ আদালতে আপিল করেন এবং সে আপিলে সড়ক ও জনপদ অফিস হেরে যান। আমরা কোর্টের রায়ের মাধ্যমে মালিক হয়েছি।
সড়ক ও জনপথ সার্ভেয়ার ইলিয়াস বলেন, গত ১৯/৬/১৩ ডিগ্রী রদ বাবদ দেওয়ানী ১৮৮/১৩ মাগুরা সদর সহকারী জজ আদালতে নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) বাদি হয়ে মামলা রুজু করেন। এরপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাবদ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাদি হয়ে বিবাদী জয় গোপাল মন্ডলের বিরুদ্ধে দেওয়ানী ০৪/২০১৩ মাগুরা সদর সহকারী জজ আদালতে আরেকটি মামলা রুজু করেন। মামলা ২টি চলমান রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ সকালে মাগুরা সড়ক ও জনপথ নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, মামলা যখন চলমান রয়েছে তার মানে আদালতের অধীনে রয়েছে বিচার ব্যবস্থা। মার্কেট নির্মাণ বা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, অবশ্যই জমিটি সড়কের জন্য ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করব। এটা আমাদের আইনি পদক্ষেপ। জমিটি নিয়ে যেহেতু আদালতে দুটি মামলা হয়ে গেছে, এখন সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না জমিটির মালিক কে? তারা দাবি করছে তারা মালিক, আমরা দাবি করছি আমরা মালিক। আদালতের রায় প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন পক্ষই জমির মালিক নয়। জায়গাটি আমরা নজরদারীর মধ্যে রেখেছি এবং মাগুরা জেলা প্রশাসক সাহেবের সাথে সমন্বয় করে কার্যকারী পদক্ষেপ নিব।
যাতে করে আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই কেউ অন্যায় ভাবে মার্কেট নির্মাণ বা স্থাপনা নির্মাণ না করতে পারেন। সরকারি জমি দখল করে কেউ মার্কেট নির্মাণ করবে এটা হতে পারে না। সমাধান না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরার বড়রিয়া গ্রামের বড় পুকুর ঘেরে দূর্বৃত্তদের গ্যাসট্যাবলেট নিক্ষেপে ; ৬ লাখ টাকার মাছ মরে ভেসে উঠেছে
ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বড়ুরিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলুর রহমান শেখ ও ব্যবসায়ী আলমগীর শিকদারের পাটনারশীপ পুকুর ঘেরে গতকাল শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার সময় দূর্বৃত্তদের গ্যাস ট্যাবলেট নিক্ষেপে মাছ মারা গিয়ে ভেসে উঠেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ টাকা।
বড়রিয়া গ্রামের মেম্বার মোঃ বাবলুর রহমান জানান, বড়রিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার শফিক খানের পুত্র ইসরাফিল খান (৩৪) ও ধোয়াইল বাজারস্থ এলাকার আমজেদ মন্ডলের পুত্র জুবায়ের মন্ডল (২৮) এই দুজন পূর্বে আমার সাথে পুকুর ঘেরের সাথে মাছ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলো। তার ২ জন গত ১ মাস পূর্বে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ৩ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা থেকে সরে চলে যায়। এরই জের ধরে আমার সন্দেহ গত রাতে ইসরাফিল খান পুকুরের পশ্চিম পাশের চালা থেকে নেট জালের ব্যাগে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে শত্রুতার বসত এই অপরাধ মূলক কাজ করেছে। কাতল, মৃগেল, রুই, সিলভার, পাঙ্গাশ, পুটিমাছ একথায় চাষযোগ্য সমস্ত সাদা মাছ নষ্ট হয়ে গেছে।
আলমগীর শিকদার জানান, এটা একটা অপরাধ মূলক কাজ আমরা এর আইনের আওতায় বিচার চাই। এছাড়াও উপস্থিত এলাকাবাসীর লোকজন এমন নেক্কারজনক ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা করে।
এবিষয়ে ইসরাফিল খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার ফেরদৌসী আক্তার জানান, মাছ পরীক্ষা করা হবে ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাগুরায় ইউপি চেয়ারম্যানের দখল থেকে বাড়ি উদ্ধারের দাবি ভুক্তভোগী উর্মি শায়লা মনিরা
ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরায় জবরদখলকারী হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম আখরোটের দখল থেকে বাড়ি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বাড়ির প্রকৃত মালিক উর্মি শায়লা মনিরা। শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার সময় মাগুরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উর্মি শায়লা মনিরা অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতার রেখে যাওয়া মাগুরা শহরের হরিশদত্ত রোডে অবস্থিত ৮.২০ শতাংশ জমিসহ বাড়ির কর ফাঁকি দিয়ে মাজহারুল ইসলাম আখরোট চেয়ারম্যান খাস জমিতে পরিনত করে ফেলে। পরবর্তীতে মাজহারুল ইসলাম আখরোট চেয়ারম্যান ও তার গডফাদার সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের অবৈধ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে উক্ত জমি দখল করে বসবাস করতে থাকে।
আমি ২০২১ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি আমার পৈতৃক জমি ভাগ-বাটোয়ারা করার জন্য স্থানীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করি। তখন তাদের কাছ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ডঃ আশরাফুল আলম আমাদের কে নিয়ে মোট ৪ বার শুনানী করেন। তখন আমরা জানতে পারি মাগুরা শহরের হরিশদত্ত রোডে অবস্থিত চার তলা বাড়িটি আমার বাবার নিজ নামীয় সম্পত্তি। কিন্তু দীর্ঘদিন আখরোট চেয়্যারম্যান ক্ষমতার জোরে দখল করে রেখেছে।
এক পর্যায়ে সকল বৈধ জমির সকল কাগজপত্র দিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট জমির মালিকানা দাবি করে আবেদন করলে জেলা প্রশাসক বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পাঠায়। ৩১ জুন ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অবৈধ দখলদার, দুর্নীতিবাজ আখরোট চেয়ারম্যানের এই অনৈতিক কাজের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দেয়। আর ৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত ১২৮০ নং স্মারকের একটি চিঠিতে প্রকৃত বাড়ির মালিক হিসেবে আমাকে (উর্মি শায়লা মনিরা) বুঝিয়ে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক বাড়িটি বুঝিয়ে দিতে গড়িমসি শুরু করেন। আমি বাড়িটি বুঝিয়ে নিতে মাগুরায় গেলে ১৬ আগস্ট ২০২৩ আখরোট চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের নির্দেশে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমার উপরে হামলা চালায় এবং আমার কাছে থাকা জমির মূল কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। এরপর আমি কাগজপত্র নিয়ে আবারো জেলা প্রশাসকের নিকট দেখা করতে গেলে এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ আমার সাথে দেখা করে নাই।
৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন ১০ দিনের মধ্যে আপনার বাড়িটি বুঝে নিতে হবে এবং ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে আমি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগকে ফোন দিলে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এরপর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হক আমাকে ফোন দিলে আমি জিজ্ঞাসা করি বাড়িটি বুঝিয়ে দিতে কত সময় লাগবে তিনি বলেন আগের জন যেরকম রেখে গেছে আমি সেরকম রেখে যাব।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের জুন মাসে কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ, জবরদখলকারী আখরোট চেয়ারম্যান ও তার গডফাদার সাইফুজ্জামান শিখরের সন্ত্রাসীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয় এবং এক পর্যায়ে আমার মাকে রুমে আটকিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। পরবর্তীতে পুলিশের সহয়াতায় আমি আমার মাকে উদ্ধার করি। এরপর মাগুরা- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর আমাকে ন্যাম ভবনে ডেকে নিয়ে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে জমির বিষয়ে আর সামনে না আগানোর কথা বলেন।
কুখ্যাত সন্ত্রাসী, দখলকারী, দুর্নীতিবাজ আখরোট চেয়ারম্যানের দখল থেকে আমার বৈধ বাড়ি ও জমিটি উদ্ধার পূর্বক মালিকানা ফিরে পেতে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাগুরায় জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ওয়ার্কশপ
ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরায় জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ওয়ার্কশপ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৩০ টার সময় মাগুরা জেলা অডিটোরিয়াম, নোমানী ময়দানে সোনালী ব্যাংক পিএলসি মাগুরা জেলা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামে সভাপতিত্ব করেন, মাগুরা সোনালী ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার দিদারুল আলম।
জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মনজুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক যুগ্ম-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মনজুর রহমান বলেন, টাকার কাজ হল বিনিময়ের মাধ্যম, অ্যাকাউন্টের একক এবং মূল্যের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করা। জাল নোট সম্পর্কে বলেন, দেশের প্রচলিত বৈধ নোট বা মুদ্রার আদলে অবিকল নোট বা মুদ্রা তৈরি করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা আর্থিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া বাজারজাতকৃত নোটসমূহই হচ্ছে জাল অথবা নকল নোট।
খুলনা বাংলাদেশ ব্যাংক যুগ্ম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, অরিজিনাল টাকার নোট হবে উন্নত মানের ফাইবার আঁশ পেপারের আর জাল নোট কাগজের হবে যা হাতে নিলে মুঠোর মধ্যে চাপ দিলে দূর্বল হবে ও অমসৃণ হয়ে যাবে। জাল নোট শনাক্ত হলে জাল নোটসহ উপস্থাপনকারীকে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটতম কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তারা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উপস্থাপনকারী এটিকে সরল বিশ্বাসে উপস্থাপন করেছেন তাহলে জাল নোটটি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাজেয়াপ্ত করার সময় নোটের উপরে “জাল” সিলমোহর প্রদান করতে হবে অথবা লাল কালিতে বড় অক্ষরে “জাল” শব্দটি লিখতে হবে। জাল নোটের অপরপিঠে উপস্থাপনকারীর নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পূর্ণ স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। কার কাছে তিনি নোটটি পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে তার লিখিত বিবৃতি নিতে হবে। উপস্থাপনকারী নিরক্ষর হলে তার বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ নিতে হবে। অধিকতর তদন্ত করার জন্য জালনোট এবং জাল নোটের উপস্থাপনকারীর বিবৃতি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করতে হবে। তদন্ত শেষে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জাল নোট ও তদন্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি অফিসার বরাবর প্রেরণ করবেন। অর্থনীতিতে জাল নোটের প্রভাব, জাল নোটের কারণে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পায়। জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে, জনগণ প্রতারিত হয়। প্রচলিত মুদ্রা ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যায়। খাঁটি ও আসল মুদ্রার মূল্যমান হ্রাস পায়। মুদ্রার গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পায়।বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। সামাজিক অস্থিরতা ও অবৈধ কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। আর্থিক ক্ষতি।
বাংলাদেশ ব্যাংক একমাত্র টাকা উৎপাদন করতে পারে আর কেউ এটা তৈরি করতে পারে না।
জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ওয়ার্কশপ প্রোগ্রাম উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা রুপালী ব্যাংক পিএলসি কর্পোরেট শাখা সিনিয়র অফিসার এবিএম সোহেল উজ্জামান, মাগুরা উত্তরা ব্যাংক পিএলসি ম্যানেজার মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, মাগুরা কৃষি ব্যাংক প্রধান শাখা ম্যানেজার রতন কুমার সরকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার মোঃ তারিকুল ইসলাম, আল আরফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা প্রিন্সিপাল অফিসার তাসলিমা ইয়াসমিন, ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি মাগুরা উপশাখা ম্যানেজার মোঃ আরিফুজ্জামান, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এক্সিকিউটিভ অফিসার রিংকু সরকার, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার মোঃ কামরুজ্জামান, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার কিশোর কুমার অধিকারী, পূবালী ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা এজিএম মোঃ ছালামুজ্জামান, জনতা ব্যাংক পিএলসি মাগুরা প্রধান শাখা ম্যানেজার মিলন কুমার দত্ত (এসপিও), যমুনা ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার এভিপি জয়নাল আবেদীন, ক্যাশ অফিসার নুর জাহান নুরী, ক্যাশ অফিসার কামাল হোসেন, এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার এমএ শোয়েব, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার মুন্সি মারুফ সিদ্দিক, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার অপারেশন জয়নাল হোসেন, ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা ম্যানেজার রামকৃষ্ণ মন্ডল।
জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির কাছে প্রশ্ন রাখেন, মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ ওসমান গণী, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি মাগুরা শাখা সিনিয়র অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম, মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রভাতী শাখা ৭ম শ্রেণির ছাত্র মুহতাসিম ফুয়াদ।
Leave a Reply