November 19, 2025, 1:33 am
শিরোনামঃ
শেখ হাসিনা ও কামালের বিচার সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত হয়নি : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের বিবৃতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশে ভারতের প্রতিক্রিয়া ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ে মামলা দায়ের মাগুরার মহম্মদপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে আগুন ; আগুনে পুড়ে গেছে ফাইল ও আসবাবপত্র গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় বোমা হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত রাজবাড়ীতে প্রবাস থেকে ফিরে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধে গোসল করলেন যুবক জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন
এইমাত্রপাওয়াঃ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে এবার জামায়াতে ইসলামীর ‘রিভিউ’ আবেদন দায়ের

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘রিভিউ’ আবেদন দায়ের করেছে।

জামায়াতের ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির আজ জানান, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে প্রদত্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে রিভিউ আবেদন দায়ের করেছেন দলের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।’

এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপির পক্ষে দায়ের করা রিভিউ শুনানির দিন আগামীকাল ২৪ অক্টোবর ধার্য রয়েছে। পৃথক দুটি রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামীকাল ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। গত ২০ অক্টোবর এ আদেশ দেয় চেম্বার কোর্ট।

গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার রিভিউ আবেদন দায়ের করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনে বিএনপির পক্ষে ১০টি যুক্তি পেশ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন,  যুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে-আদালতে প্রকাশ্যে ঘোষিত সংক্ষিপ্ত আদেশ সংবিধান সংশোধনের পর
পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে বাদ দেয়া এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অবসরের ১৮ মাস পর রায় প্রকাশ করা একটি বিচার বিভাগীয় প্রতারণা। বিষয়টি নিয়ে একটি ফৌজদারী মামলাও চলমান রয়েছে বলে যুক্তিতে উল্লেখ করা হয়।

গনতন্ত্র এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন জমজ সন্তানের মত একটি ছাড়া আরেকটি অর্থহীন। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র গ্রহণযোগ্য বাহন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ ধ্বংস করা হয়েছে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে যুক্তিতে বলা হয়।

যুক্তিতে আরো বলা হয়, সংবিধান একটি জীবন্ত রাজনৈতিক দলিল। সময়ের প্রয়োজন মেটাতে না পারলে এর কার্যকারিতা থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব সংবিধানকে প্রাসঙ্গিকভাবে ব্যাখ্যা করা যান্ত্রিকভাবে নয়। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ রায় পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।

যুক্তিতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী সংশ্লিষ্ট মৌলিক মর্যাদা অর্জন করে। সুপ্রিম কোর্ট এই মৌলিক স্তম্ভ অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে পারে না বলে যুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। মানুষ মুক্তি পায়। দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পূর্বেই সংবিধান সংশোধন করে তৎকালীন আওয়ামী সরকার। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংসদে বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। আদালতে ঘোষিত রায়ের সাথে প্রকাশিত রায় ভিন্ন ছিল। যা বিচার বিভাগীয় প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন এডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ও ২০০১ সালের ১ অক্টোবর  অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশংসিত হয়েছিল।

ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলই ওই নির্বাচনগুলো মেনে নেয়। ওই সময় জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে অধিবেশন কার্যক্রম প্রাণবন্ত ছিল। ২০০৭ সালের এক এগারো পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচন বিতর্কিত প্রশ্নবিদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য ছিল।  যদিও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি আওয়ামী লীগ জানায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। এক এগারোর কুশীলবরা ওই নির্বাচন পরিচালনা করেছিল। ওই নির্বাচন পরবর্তী সংসদে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এমপিগণ অধিবেশনে সরব ছিলেন। ২০০৮ এর নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলে উদ্যোগ নেন।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page