অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হারের পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে বক্তব্য দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ভাষণের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে হার মেনে নেন কমলা।
স্থানীয় সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে কর্মী-সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কমলা হ্যারিস।
তিনি বলেন, ‘আজ আমার হৃদয় পরিপূর্ণ হয়েছে। আপনারা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আমাদের সব ভালোবাসা দেশের জন্য।’
কমলা হ্যারিস বলেছেন, ‘এই নির্বাচনের ফল যেটা হয়েছে তা আমরা চাইনি, এর জন্য লড়াই করিনি, ভোট দেইনি। তবে শুনে রাখুন, যতদিন আমরা হাল ছাড়ব না, লড়াই চালিয়ে যাব–ততদিন আমেরিকার সম্ভাবনার আলো জ্বলজ্বল করবে।’
ডেমোক্রাট প্রার্থী বলেন, আমরা আবেগের সমুদ্রে ভাসছি। আমি বুঝতে পারছি। তবে আমাদের এই নির্বাচনের ফল মেনে নিতে হবে। আমি প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছি’-যোগ করেন হ্যারিস।
তবে ফল মেনে নেওয়ার পরপরই হ্যারিস হুঙ্কার ছুঁড়ে দেন, ‘আমরা ভোটিং বুথে, আদালতে, পাবলিক স্কয়ারে লড়াই চালিয়ে যাব। আমেরিকানদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য যেখানে তারা নিজেদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে এবং গণতন্ত্রের জন্য আমার লড়াই চলবে।’
তরুণ সমর্থকদের হাল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য লড়াই সবসময়ই মূল্যবান। দুঃখ এবং হতাশা আসতে পারে, তবে একদিন এটা ঠিক হয়ে যাবে। কখনও কখনও ফল কিছুটা দেরিতে আসে, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা জিতব না। হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না, আপনাদের সেই ক্ষমতা আছে।’
বক্তব্যে হ্যারিস তার পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে স্বামী ডগলাস এমহফ, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, রানিং মেট টিম ওয়ালজ ও তাদের পরিবারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি দলের স্বেচ্ছাসেবক, ভোটার ও স্থানীয় নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। ফলাফলে ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে রিপাবলিকান ট্রাম্প পেয়েছেন ২৯৫টি। যেখানে বিজয়ী হতে প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ। আর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৬টি। এখনও দুটি অঙ্গরাজ্যে ফল ঘোষণা বাকি।
Leave a Reply