অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গরিবাবাদি বলেছেন, দেশের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কোনো সামরিক উদ্দেশ্য নেই এবং প্রযুক্তিগত প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতি রেখে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির একটি সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় গরিবাবাদি গতকাল (মঙ্গলবার) এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে একথা বলেছেন।
গ্রোসি তার সাক্ষাৎকারে বলেন, “ইরান সামরিক স্তরের কাছাকাছি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে এবং দ্রুত পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” তিনি বলেন, “পরমাণু সমঝোতা আর প্রাসঙ্গিক নয় এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বাস্তবতা বিবেচনায় নেয়ার জন্য একটি নতুন বোঝাপড়ার প্রয়োজন।”
জবাবে গরিবাবাদি বলেন, “একটি বিশেষ সংস্থার মহাপরিচালক এজেন্সির পরিদর্শকদের কাছ থেকে তথ্য ও প্রযুক্তিগত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অনুমানমূলক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে উদ্দেশ্যমূলক কথা বলা মহাপরিচালকের দায়িত্বের অংশ নয় এবং এটি সংস্থার মর্যাদা ও চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।”
কাজেম গরিবাবাদি আরো বলেন, “ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন প্রযুক্তিগত প্রয়োজনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং সম্পূর্ণভাবে এজেন্সির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। জ্বালানি চক্র-সহ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নথিতে স্বীকৃত। মহাপরিচালকের এই বক্তব্য যাতে রাজনৈতিক রঙ আছে, তাকে উপেক্ষা করা যায় না।”
যতক্ষণ পর্যন্ত পরমাণু কর্মসূচি আইএইএ’র তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে এবং সামরিক দিকে মোড় না নিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি অনুসারে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিষিদ্ধ নয় বলেও উল্লেখ করেন কাজেম গরিবাবাদি।
Leave a Reply