অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা, লেবানন ও সিরিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন থামানোর বিষয়টি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রধান অগ্রাধিকার হতে হবে।
মিশরের রাজধানী কায়রোয় গতকাল (বৃহস্পতিবার) উন্নয়নশীল দেশগুলোর সংগঠন ডি-এইটের শীর্ষ সম্মেলনের অবকাশে অনুষ্ঠিত আলাদা একটি বৈঠকে একথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি সময়ে আজ এখানে মিলিত হয়েছি যখন মধ্যপ্রাচ্য স্পর্শকাতর, জটিল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে সময় পার করছে।
তিনি বলেন, “আমরা যখন গাজা আগ্রাসনের ১৪ মাস পার করতে যাচ্ছি তখন আমরা দেখছি ইহুদিবাদী ইসরাইল লাগাতার বর্বরতা চালাচ্ছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানব-ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক অপরাধযজ্ঞ চলছে। সর্বোপরি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল লেবানন এবং সিরিয়ায় বর্বর আক্রমণ চালিয়েছে।”
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদি ইসরাইল গত এক বছরে ফিলিস্তিনি জনগণের শুধুমাত্র স্বাধীনতা, আত্ম-নিয়ন্ত্রণাধিকার, নিরাপত্তা, কল্যাণ ও শিক্ষার মতো অধিকার কেড়ে নেয়নি বরং তারা তাদের জীবনের অধিকার, খাদ্য, পানি, আশ্রয় এমনকি পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যে কি হয়েছে তা জানার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ইসরাইলের ভয়াবহ বর্বরতার শিকার ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই মানবতা-বিরোধী অপরাধ এবং অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য সারা বিশ্ব ইসরাইলকে নিন্দা জানাচ্ছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের বর্বরতা এবং ব্যাপকভিত্তিক আগ্রাসন থামানোর জন্য অবশ্যই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এর প্রথম পদক্ষেপে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে এবং লেবানন ও ইসরাইলে যাতে হামলা না করতে পারে তার জন্য তাকে বাধ্য করতে হবে। এই বিষয়গুলো ডি-এইটভুক্ত দেশগুলোর কাছে নৈতিকভাবে অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে।
একই সাথে তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে দখলদার সেনা প্রত্যাহারের জোরালো আহ্বান জানান। গাজা থেকে শরণার্থী হয়ে যাওয়া লোকজনদের ঘরবাড়িতে ফিরে আসার ব্যবস্থা করার কথাও বলেন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান।
Leave a Reply