বশির আল-মামুন, চট্টগ্রাম : শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় গ্রাম অঞ্চলে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালসহ নগরী ও জেলার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশুদের ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে গেছে।
নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে দেখাগেছে, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগই শ্বাসতন্ত্রের নানা ধরনের সংক্রমণ ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আবার একটু ১৫-২০ বছর বয়সী বাচ্চাদের অ্যাজমাও বেড়ে গেছে।
সর্দি ও জ্বর নিয়ে নগরীর চকবাজার এলাকার ৩ বছরের সাজনকে সপ্তাহখানেক আগে ভর্তি করানো হয় চমেক হাসপাতালে। ৪ দিন পর বাসায় ফিরলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি বলে জানিয়েছেন তার অভিবাবকেরা।
কাজীর দেউরী এলাকার বয়স্ক আবুল কাশম প্রচন্ড কাশি নিয়ে ভর্তি হন চমেক হাসপাতালে। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা বলছেন, শীতের এই সময়টায় শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শিশুদের ঠিকমতো যত্ন নিলে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ালে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এটি জটিলও হয়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের জ্বর সর্দি হলেও কোনোভাবে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদা আক্তার বলেন, আবহাওয়ার পরিবর্তনে শিশুরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীতে নিউমোনিয়া রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে শিশুদের সুরক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে। সবগুলো টিকাদান নিশ্চিত করতে হবে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন জেলার সব উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ঠান্ডাজনিত রোগের বিষয়ে সতর্ক থাকাতে এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের পর্যাপ্ত মজুত রাখতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply