অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানবাধিকার রক্ষা এবং দ্বিমুখী নীতি পরিহারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি মানবাধিকার কাউন্সিলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য জেনেভা সফর করেছেন। সোমবার মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে আব্বাস আরাকচি মানবাধিকার ইস্যুতে দ্বিমুখী এবং পক্ষপাতমূলক নীতি অব্যাহত থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে মানবাধিকার কাউন্সিল এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বিভিন্ন জাতির আস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। আরাকচি আরও বলেন, মানবাধিকার রক্ষার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং দীর্ঘ ইতিহাসের কারণে ইরান সব সময় তার নাগরিকদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক অধিকার সমুন্নত রাখার চেষ্টা চালিয়েছে। ইরানে নারী, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারসহ সব ধরণের মানবাধিকার বাস্তবায়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসরাইলকে দুবৃত্ত রাষ্ট্র বললেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইন প্রণেতা
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস আজ মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইন প্রণেতা লিন বয়েলান বলেছেন, ইসরাইল একটি দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র এবং ইসরাইলের অবমাননামূলক তৎপরতা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তাদের চরম অবজ্ঞার প্রমাণ। আয়ারল্যান্ডের সিন ফেইন দলের সদস্য বয়েলান আরও বলেছেন, ইউরোপকে অবশ্যই ইসরাইলকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে হবে। তিনি বলেন, ইসরাইলের জঘন্য আচরণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জবাবদিহি করতে ব্যর্থতার ফল। সোমবার দখলদার ইসরাইল লিন বয়লানকে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করতে দেয়নি। এর আগে ইউরোপের বহু রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও নেতা ইসরাইলকে তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য বোঝা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব পাস করল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ : সোমবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আমেরিকার দেওয়া একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব পাসের জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর নিরাপত্তা পরিষদে তা উত্থাপন করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ভোটে ১০টি দেশ মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, ৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে, কিন্তু কোনও দেশই এর বিরোধিতা করেনি। ইউক্রেন সম্পর্কিত এই মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়ার সমর্থিত ছিল এবং নিরাপত্তা পরিষদে ইউরোপের দুই দেশের পক্ষ থেকে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করা হয় নি। ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের জন্য চাপ দেওয়ার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করলেও ফ্রান্স এবং ব্রিটেন এবার তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করা থেকে রিবত থাকে। এই দুই দেশ কেবল ভোটদানে বিরত ছিল।
Leave a Reply