September 14, 2025, 12:26 pm
শিরোনামঃ
ফিলিস্তিনর গাজায় পোকার কামড়ে অতিষ্ঠ ইসরায়েলি সেনারা ; ছড়িয়ে পড়ছে চর্মরোগ মুসলিম দেশগুলো মিলে ‘যৌথ অপারেশন সদরদপ্তর’ গঠনের আহ্বান জানাল ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আগে ন্যাটোকে রুশ তেল কেনা বন্ধ  করতে হবে :  ট্রাম্প ইউক্রেনে ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করল রোমানিয়া ও পোল্যান্ড ট্রাম্প একজন ভ্রান্ত আত্ম-অহংকারী : ব্রিটিশ বিশ্লেষক ঝিনাইদহের মহেশপুরে শহীদুল ইসলাম স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হালাল সার্টিফিকেশন কার্যক্রমে ওআইসি’র সহযোগিতা চাইলেন ধর্ম উপদেষ্টা লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ সুখবর দিলেন বোর্ড চেয়ারম্যান
এইমাত্রপাওয়াঃ
বাংলাদেশে স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকারের সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ

গাজায় গণহত্যা সমর্থনকারী ইসরায়েলি পর্যটকদের বের করে দিলেন স্পেনিশ রেস্তোরাঁ মালিক

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজায় গণহত্যা সমর্থনকারী ৮ ইহুদি পর্যটককে সম্প্রতি স্পেনের এক ছোট্ট রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নানা মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে।

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউরোপজুড়ে জনমতের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে স্পেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর ভিগোর ‘মিমাসা’ নামক একটি রেস্তোরাঁ হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিও দিয়ে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, রেস্তোরাঁর মালিক ৮ জন ইসরায়েলি পর্যটককে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তিনি তাদের সেবা দিতে আগ্রহী নন। তিনি গাজার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়াও জানান।

ভিডিওতে মালিক বলতে শোনা যায়: “তোমরা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছ, যাও গাজায় গিয়ে খাও!”

“তোমরা মানুষ হত্যা করো, তারপর বেড়াতে চলে আসো! এখান থেকে বেরিয়ে যাও!”

পাশাপাশি, ভিডিওর পেছনে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত হোক!’ ও ‘ইহুদিবাদ নিপাত যাক!’- স্লোগানও শোনা যায়।

এই ঘটনার পর ইসরায়েলপন্থী কিছু অনলাইন গ্রুপ রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালায়, তা বয়কটের ডাক দেয়। কিন্তু এর বিপরীতে, বহু স্থানীয় মানুষ এবং এমনকি বিদেশি পর্যটকেরাও রেস্তোরাঁটির এই মানবিক ও সাহসী অবস্থানের প্রশংসা করে সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন।

কয়েক দিনের মধ্যেই রেস্তোরাঁটির ক্রেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। অনেকেই জানান, তারা একমাত্র এই প্রতিবাদী মনোভাবের প্রতি সংহতি জানাতেই সেখানে এসেছেন।

রেস্তোরাঁর মালিক পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি বার্তা দিয়ে এই অভাবনীয় সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

যদিও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ও কিছু অনলাইন ইহুদিগোষ্ঠী এই ঘটনার সমালোচনা করেছে, তবু এটি ইউরোপজুড়ে ক্রমবর্ধমান সেই আন্দোলনের প্রতিফলন, যেখানে মানুষ ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

সম্প্রতি ইউরোপের বহু দেশে ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক জোরালো হয়েছে, যারা কোনোভাবে তেল আবিবের দখলদার নীতিকে সমর্থন বা সহযোগিতা করছে।

স্পেন সরকার এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ইউরোপের জনমনে একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়—একটি পরিবর্তন, যা এখন কেবল রাজপথেই নয় বরং রেস্তোরাঁ, দোকানপাট এমনকি পর্যটন ক্ষেত্রেও প্রবেশ করেছে।

এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, যুদ্ধ ও নিপীড়নের মাঝেও ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠতে পারে বৈশ্বিক ন্যায়বোধ ও সংহতির কণ্ঠস্বর।

আজকের বাংলা তারিখ

September ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Aug    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  


Our Like Page