স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুরে আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে দেওয়া পাকা ঘর তৈরিতে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠার আগেই দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুনের কপালে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অসহায় ভিডিপি সদস্যদের জন্য ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্দের ঘর পায় উপজেলার নস্তী গ্রামের উপজেলা সহকারী মহিলা আনসার প্লাটুন কমান্ডার রেবেকা খাতুন। কিন্তু ঘর নির্মাণে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। রেবেকার নামে ঘর বরাদ্দ হওয়ায় প্রথমে খুশি হলেও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরি করার ফলে নতুন ঘরে ওঠর আগেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
রেবেকা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সারা দিন অফিসে থাকার কারণে ঘর নির্মাণ কাজ দেখার সময় দিতে পারি না। সকালে অফিসে যাই সন্ধায় বাড়ি ফিরতে হয়। সেই সুযোগে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করছে। বাথরুমের দরজা খুলতে গেলেই পড়ে যাচ্ছে, রঙ্গিন টিন দেওয়ার কথ থাকলেন দিয়েছে নিম্নমানের টিন, জোড়া-তালির বাটাম, পাতলা পাতি দিয়ে জালানা তৈর করেছে। এখনি পাতির ঝালাইগুলো খুলে যাচ্ছে, ঘরের চাল দিলেও কোন টানা দেয়নি। ঝড় আসলেই ঘরের চাল উড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এই ঘরটি জেলা স্যারের দায়িত্বে করা হচ্ছে । তিনি লেবারসহ সকল মালামাল জেলা থেকে নিয়ে আসেন। মিস্ত্রিরা আমার কোন কথাই শোনেন না। তাদের মত তারা কাজ করে চলে যায়। জেলা স্যারকে বললে, স্যার বলেন সমস্যা হলে ঠিক করে দেওয়া হবে। এমন ঘরে বসবাস করবো কি ভাবে ? সামনে ঝড়ের সময়, এমন ঘর আমাকে দেওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালো ছিল বলে আক্ষেপ করে জানান রেবেকা।
প্রতিবেশি ছাবিনা খাতুন জানান, রেবেকা ঠিকমত বাড়িতে না থাকায় ঘর তৈরির শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর করা হচ্ছে। তারা যে জানালা লাগিয়েছে বাঁশের চটার জানালাও এর চাইতে মজবুত হয়। বাতাস আসার আগেই ঘরের চাল উড়ে যাবে। যানতে চাইলে মিস্ত্রিরা বলেন যেমন বরাদ্দ ঠিক তেমনই ঘর হচ্ছে।
উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসার খুশি খাতুন বলেন, রেবেকার ঘরটি জেলা স্যারের দায়িত্বে করা হচ্ছে। কিছু কাজ নিম্নমানের হয়েছে আমি দেখে এসেছি এবং এ বিষয়ে স্যারকে জানিয়েছি।
তিনি আরও জানান যেমন বরাদ্দ তেমনি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন এ ঘরের জন্য কত টাকা বরাদ্দ তার কিছুই আমি জানি না। ঘর নির্মাণের বিষয়ে আমাকে পর্যন্ত জানানো হয়নি ।
ঝিনাইদহ জেলা আনসার-ভিডিপি কমানন্ডার মিজানুর রহমান বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু জানার থাকলে জেলা অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।