অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টার থেকে ১০ পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তুপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর রহমান ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিনভর দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষ শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জনতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।