November 25, 2025, 3:30 pm
শিরোনামঃ
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দিনব্যাপী নির্বাচন কমিশনের সংলাপ আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল চুক্তি নিয়ে হাইকোর্টের রায় দুদককে চাপ প্রয়োগ করলে তালিকা প্রকাশ করা হবে : দুদক চেয়ারম্যান বিএনপি নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত : রুহুল কবির রিজভী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপার চূড়ান্ত করেছে সরকার  ফরিদপুরের ফেসবুকে কাবা শরিফ নিয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট ;  যুবক গ্রেপ্তার রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ   পিরোজপুরে সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা সভা 
এইমাত্রপাওয়াঃ

মুখোশ পরে মানবাধিকারের ধ্বজাধারী হলেও গণহত্যার স্থপতি আমেরিকা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আলবানজের কঠোর প্রতিবেদন আমেরিকার গোপন মুখোশ উন্মোচিত করেছে; যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যে মানবাধিকার রক্ষা করার পরিবর্তে উল্টো গাজায় গণহত্যার প্রধান অংশীদার হয়েছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানজে অক্টোবরের শেষে গাজায় গণহত্যায় অনেক দেশের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতিসংঘে যোগ দিতে না পেরে তিনি ভার্চুয়ালি তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। আল জাজিরার মতে, এই বিশেষজ্ঞের ২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গাজা “গণহত্যায়” ৬৩টি দেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা জানিয়েছে: “দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রান্সেসকা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার সর্বশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।” তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখিত দেশগুলির সমালোচনা করে বলেন: ‘গণহত্যার ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। গণহত্যার সহযোগীদের মধ্যে আমেরিকা, জার্মানি এবং ব্রিটেন অগ্রভাগে রয়েছে।’

এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা স্বীকার করে তিনি মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির মাধ্যমে আরব ও মুসলিম দেশগুলির প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।

ইসরায়েল-বিরোধী আন্দোলননকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো কঠোর পদক্ষেপের মুখে জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে আলবানিজ বলেন: ‘ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার জন্য এই বছরের শুরুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যেতে বাধা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিপজ্জনক নজির’ স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের নিজস্ব নীতি, এর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং এর চেতনার উপর আক্রমণ। যদি এ ধরণের নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থার কফিনে আরেকটি পেরেক ঠুকে দেওয়া হবে।”

‘মিডল ইস্ট’ ওয়েব সাই্টে আলবানিজের প্রতিবেদনের একটি আকর্ষণীয় অংশ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে ‘যাদুকর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।” তিনি ওই প্রতিবেদনকে মন্ত্রের বই বলে অভিহিত করেছেন এবং এই প্রতিবেদনের প্রতিটি পৃষ্ঠাকে ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য একটি মন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন! ”

তবে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এই সমালোচনা সত্ত্বেও, আলবানজে শান্ত ছিলেন এবং তিনি বলেছেন, “এটা অদ্ভুত যে গণহত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার অনুসন্ধানকে সম্মান দিতে পারেনি এবং সে আমাকে জাদুকর বলে অভিহিত করেছে। যদি আমার সত্যিই মন্ত্র করার ক্ষমতা থাকত, তাহলে আমি প্রতিশোধের জন্য এটি ব্যবহার করতাম না, বরং আপনার অপরাধগুলি চিরতরে বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতাম।”

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page