অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী ইহুদিবাদী ইসরায়েলে শীতকাল ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গাজার মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।
পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী রামিজ আকবারোভ গাজার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ভয়াবহ অবস্থা সম্পর্কে সতর্ক করে জানিয়েছেন, শীতকাল ঘনিয়ে আসায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, গাজার জীবন-রক্ষাকারী কার্যক্রমগুলোকে সমর্থন দিতে দখলকৃত ভূখণ্ডের মানবিক তহবিল থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এনজিওগুলো যাতে সহায়তাসামগ্রী গাজায় পৌঁছে দিতে পারে, সেজন্য সীমান্তপথগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া এবং ভেতরে আরও সড়ক তৈরি করা জরুরি।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা জানান, এই অর্থায়ন অংশীদার সংস্থাগুলোকে ৩০টিরও বেশি পরিকল্পিত প্রকল্প পুষ্টি, পানি, স্বাস্থ্য, আশ্রয় ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
রামিজ আকবারোভ গাজা শহরের এক শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রও পরিদর্শন করেছেন, যেখানে গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে তাঁবু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি শিশু হাসপাতাল আল-রান্তিসি–তেও যান, সেখানে তিনি এমনসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, যারা শীত আসার আগে জরুরি সহায়তার তীব্র প্রয়োজন অনুভব করছে।
এদিকে, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বারশ জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের শিশুদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার হার ৮২ শতাংশে পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেছেন, গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে এবং দখলদার ইসরায়েল এখনো এই খাতে জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ আগেই জানিয়েছিল, গত দুই বছরের যুদ্ধের মধ্যে গাজার ৫৬ হাজার শিশু এক বা উভয় অভিভাবককে হারিয়েছে এবং বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ ২০ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে।