December 30, 2025, 9:27 pm
শিরোনামঃ
শোকের এই সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন : প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ; বুধবার সাধারণ ছুটি বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক প্রকাশ আগামীকাল বুধবার খালেদা জিয়ার জানাজা ; দাফন জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ইন্তেকাল ; আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন খালেদা জিয়া বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু ; সিলেটের মাদরাসাগুলোতে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল নেত্রকোণায় লুৎফুজ্জামান বাবরের আসনে তার স্ত্রী তাহমিনা জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী নরসিংদীর মাধবদীতে ছাত্রদলকর্মীকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর ইরানে আবার হামলার হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন খালেদা জিয়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : এভারকেয়ার হাসপাতালে দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে মারা যান তিনি। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আপসহীন নেত্রী বিদায় জানালেন দেশবাসীকে।

গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শ্বাসকষ্ট তীব্র হয়। এ অবস্থায় ২৩ নভেম্বর তাকে জরুরিভিত্তিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসকরা জানান তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সঙ্গে আরও কিছু জটিলতা আছে। তার কিডনি ডায়ালাইসিসও করতে হয়েছে।

কয়েক বছর ধরে নানান ধরনের গুরুতর রোগে ভুগছিলেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসার ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, অনেক বছর ধরেই খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস এবং চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতায় ভুগছিলেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সবশেষ জানান, ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরের দুই বছর দুই মামলায় দণ্ডিত হয়ে তিনি পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে একাকী সময় কাটান। সে সময় কারাগারে নিলে তার স্বজনরা সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ।’ কারাগারে থাকাকালীন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে কয়েকবার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। যদি দেশে সে সময় তার পছন্দ ছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল। বারবার আবেদনেও আওয়ামী লীগ সরকার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়নি। তাকে বিদেশে নিতে আন্দোলন-বিক্ষোভও করেন তার দলের নেতাকর্মীরা।

২০২১ সালের মে মাসে ঢাকায় নিজের বাসায় বন্দি থাকা অবস্থায় করোনা আক্রান্তও হন খালেদা জিয়া। শ্বাসকষ্টে ভোগার কারণে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। তখনও তিনি মূলত হার্ট, কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছিলেন, যা তার শারীরিক অবস্থাকে জটিল করে তুলেছিল।

২০২৪ সালের জুনে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে তার শরীরে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেময় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের হৃদরোগের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। হার্টে ব্লক ছিল। আগে একটা রিং পরানো হয়েছিল। সবকিছু পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে পেসমেকার বসানো হয়।’

২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে সব দণ্ড থেকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। এরপর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান তিনি। পরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাডামের নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে, যা আমরা বিভিন্ন সময় বলেছি। সর্বোপরি ওনার লিভারের জটিলতা অর্থাৎ লিভার সিরোসিস পরে কম্পেনসেন্টারি লিভার ডিজিজ বলে গ্রেট-টু সেটার জন্য টিপস (চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি টিআইপিস-টিপস) করা হয়েছে। টিপসের কিছু টেকনিক্যাল অ্যাসপেক্ট আছে অ্যাডজাস্টমেন্টের বিষয় আছে… আপনি দেখতে হার্টে স্টান্টিং করার পর চেক করে আবার সেটার জন্য রি-স্টান্টিং করে অথবা চেক করে দেখে যে, স্টান্টিংটা ভালোভাবে কাজ করছে কি না… এই জিনিসগুলো তো আমরা করতে পারি নাই।’

প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

 

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page