July 12, 2025, 6:44 am
শিরোনামঃ
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

তাওহীদ বা মহান আল্লাহর একত্ববাদ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদীসে রসুল (সঃ) এর বাংলা অর্থ

হে রসূল (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম!) আপনি বলুন, আল্ল­াহ একক। আল্ল­াহ অমুখাপেক্ষী, (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন), তিনি কাউকে জন্ম দেননি, এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণও করেননি। আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা ইখলাস ঃ আয়াত ১-৪)
মহান আল্ল­াহ তা’আলা বলেন-  হে মুহাম্মদ (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম!) আপনি বলে দিন- হে আমার মহান আল্ল­াহর বান্দারা!  যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো তোমরা মহান আল্ল­াহ তা’আলার রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই মহান আল্ল­াহ তা’আলা সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও করুণাময়।” (সূরা ঃ যুমার ঃ আয়াত ঃ ৫৩)
মহান আল্ল­াহ তা’আলা আরো বলেন- “আর আমি অকৃতজ্ঞ লোকদেরই শাস্তি দিয়ে থাকি।” (সূরা ঃ  সাবা ঃ আয়াত ঃ ১৭)
মহান আল্ল­াহ তা’আলা আরো বলেন- “আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে ব্যক্তি মিথ্যা আরোপ করে এবং সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তার জন্য আছে শাস্তি।” (সূরা ঃ তোহা ঃ আয়াত ঃ ৪৮)
মহান আল্ল­াহ তা’আলা আবার বলেন- “আর আমার রহমত সকল বস্তুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে।” (সূরা ঃ আরাফ ঃ আয়াত ঃ ১৫৬)

১. হযরত উবাদা ইবন সামিত রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্ল­াহ (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম) ইরশাদ করেছেন, যে লোক সাক্ষ্য দেবে যে মহান আল্ল­াহ তা’আলা ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনি এক এবং তার কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মদ (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম) তার বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা (আ) মহান আল্ল­াহর বান্দা ও রসূল এবং তারই একটি শব্দ যা তিনি মরিয়মের প্রতি প্রদান করেন এবং তারই পক্ষ হতে দেয়া একটি আত্মা । আরো সাক্ষী দেয় যে, বেহেস্ত সত্য এবং দোযখও সত্য। তাহলে মহান আল্ল­াহ তা’আলা তাকে বেহেস্তে প্রবেশ করাবেন, সে যে কোন আমল করুক না কেন? (বোখারী ও মুসলিম শরীফ) মুসলিম শরীফের অপর এক রেওয়াতে আছে, যে ব্যক্তি সাক্ষী দেবে যে, মহান আল্ল­াহ তা’আলা ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই এবং মহানবী (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম) মহান আল্ল­াহর রসূল মহান আল্লহ তার জন্য দোযখ হারাম করে দিবেন।
২. হযরত জাবির রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন রসুলুল্ল­াহ সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম- এর কাছে এসে বলল, ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম! ‘মুজিবাতান’ অর্থাৎ বেহেস্ত ও দোযখ ওয়াজিবকারী বিষয় দু’টি কি কি? তিনি বললেন, যে লোক মহান আল্ল­াহ তা’আলার সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক না করে মারা যায়, সে বেহেশতে যাবে, আর যে লোক তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করে মারা যায় যে দোযখে যাবে। (মুসলিম শরীফ)
৩. হররত উমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি একদিন রসুলুল্ল­াহ (সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম)-এর কাছে কিছু সংখ্যক বন্দী উপস্থিত করা হলো। তাদের মধ্যে জনৈক বন্দীনি অস্থির হয়ে দৌড়াচ্ছিল। আর বন্দীদের মধ্যে কোন একটি শিশু পেলেই সে তাকে কোলে নিয়ে পেটের সাথে মিশিয়ে দুধ পান করাচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে রসুলুল্ল­াহ সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্ল­াম বললেন, তোমরা কি মনে করো এ মেয়ে লোকটি তার সন্তানকে আগুনে ফেলতে পারে? আমরা বললাম, মহান আল্ল­াহ তা’আলার কসম কখনো নয়, তিনি বললেন, এ মেয়ে লোকটি তার সন্তানের প্রতি যেরূপ সদয়, মহান আল্ল­াহ তা’আলা তার বন্ধুদের প্রতি এর চাইতেও অনেক বেশি সদয় ও অনুগ্রহশীল। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
৪. হযরত মু’আয ইব্নে জাবাল রাদিয়াল­াহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি রাসুলুল্ল­াহ সাল্লল্ল­াহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পিছনে একটি গাধার উপর বসা ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, হে মু’আয! তুমি কি জানো বান্দার উপর মহান আল্ল­াহ তা’আলার হক কি এবং মহান আল্ল­াহ তা’আলার উপর বান্দার হক কি? আমি বললাম, মহান আল্লাহ তা’আলা ও তার রসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, বান্দার উপর মহান আল্ল­াহ তা’আলার হক হলো, বান্দারা মহান আল্ল­াহ তা’আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছুকেই শরীক করবে না। আর মহান আল্ল­াহ তা’আলার উপর বান্দার হক হলো, যে লোক “তার সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না। তিনি তাকে কোন শাস্তি দেবেন না” আমি বললাম, ইয়া রসুলুল্লহ আমি কি মানুষকে এ সু-সংবাদ দেবো না? তিনি বললেন, তুমি তাদের এ সুসংবাদ দিয়ো না, তাহলে তারা এর উপর নির্ভর করে বসে থাকবে। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)

আজকের বাংলা তারিখ

July ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Jun    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  


Our Like Page