অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন সংক্রান্ত কালো তালিকায় মিয়ানমারের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে নজরদারি সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। আর দীর্ঘ চার বছর পর এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ‘বর্ধিত নজরদারিতে’ থাকা দেশগুলোর ‘ধূসর তালিকা’ থেকে পাকিস্তানের নাম মুছে দিয়েছে এফএটিএফ।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই’র বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, এফএটিএফ’র উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বিচারব্যবস্থার তালিকায় প্রবেশ করেছে মিয়ানমার। এই তালিকায় থাকা দেশগুলোতে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় দুর্বলতার বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কৌশলগত সব ঘাটতি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মিয়ানমার। তাদের কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। এরপর চলতি বছরের জুনে এফএটিএফ মিয়ানমারকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে জোরালোভাবে আহ্বান জানায়। অন্যথায় সদস্যদের মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং আর্থিক লেনদেনে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় সংস্থাটি।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত অগ্রগতি না হওয়ায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফএটিএফ।
মুক্তি পেলো পাকিস্তান : কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, চার বছর পর এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে নাম কাটিয়েছে পাকিস্তান। ২০১৮ সাল থেকে দেশটিকে এ তালিকায় রাখা হয়েছিল।
প্যারিসে দুই দিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট টি রাজা কুমার পাকিস্তানকে ‘বর্ধিত নজরদারিতে’ থাকা দেশগুলোর তালিকা থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান তার কর্মপরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য টেকনিক্যাল ঘাটতি পূরণ করেছে।
গত জুন মাসের বৈঠক শেষে সংস্থাটি বলেছিল, অগ্রগতি যাচাইবাছাই করতে পাকিস্তানে সফর না হওয়া পর্যন্ত দেশটিকে ধূসর তালিকায় রাখা হবে। পরে এফএটিএফের একটি দল আগস্টের শেষের দিকে পাকিস্তান সফর করে। পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন থেকেই এই সফরকে ‘সফল’ বলে দাবি করে আসছে। তারা বলেছিল, অক্টোবর মাসে পরবর্তী মূল্যায়ন বৈঠকে একটি ‘যৌক্তিক উপসংহার’ আশা করছে পাকিস্তান।
শুক্রবারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর এক টুইট বার্তায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান এফএটিএফের ধূসর তালিকা থেকে বের হওয়া আমাদের কয়েক বছরের দৃঢ় প্রচেষ্টার প্রমাণ। আমি আমাদের বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের পাশাপাশি সব প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন জানাই, যাদের কঠোর পরিশ্রম আজকের এই সাফল্য এনে দিয়েছে।
Leave a Reply