অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় ৬-৭ ফুট উচ্চতায় প্লাবিত হয়েছে। জেলার কুতুবদিয়, মহেশখালীর ধলঘাটা, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ, সদর উপজেলার কুতুবদিয়া এলাকায় দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২ লাখ মানুষ।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ১৪শ’ ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব মতে, কক্সবাজার জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের দুইশ’ বেশি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। দুর্গত এলাকার অনেকেই এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো: আবু সুফিয়ান জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ না আসলেও এখন পর্যন্ত জেলার ৪৭টি ইউনিয়নের ৫ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক এবং ১৪শ’ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, ডায়াবেটিস পয়েন্ট, হিমছড়ি ইনানী টেকনাফ পয়েন্টে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া জানান, উপকূলে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে কক্সবাজারসহ সব সমুদ্রবন্দর থেকে বিপদ সংকেত নামানো হয়েছে। এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তবে তেজকটালের মধ্যে এই ঝড় আসায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে ভেসেছে উপকূল। তিনি জানান, কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ, চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
Leave a Reply