অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা থেকে পিছু হটেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত সমন্বয়কারী জন কিরবি। তিনি বলেছেন, ইরানে যেকোনো পরিবর্তন আনার দায়িত্ব সেদেশের জনগণের। তাদেরকেই তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাইডেন গত বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় এক নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “চিন্তা করবেন না আমরা ইরানকে মুক্ত করব। ইরানের বিক্ষোভকারীরা তাদের দেশকে অচিরেই স্বাধীন করবে।”
তিনি ইরানে কিছু নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীর প্রতি ইঙ্গিত করেরকে বিক্ষোভকারী হিসেবে উল্লেখ করেন।তার ওই হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয়।
এ সম্পর্কে গতকাল হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকরা জন কিরবিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। তারা জিজ্ঞাসা করেন, বাইডেন তার ওই বক্তব্যের মাধ্যমে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন? উত্তরে কিরবি বলেন, বাইডেন আরেকবার ইরানি ‘বিক্ষোভকারীদের’ প্রতি নিজের সংহতি ঘোষণা করেছেন; অর্থাৎ যে কাজটি তিনি শুরু থেকে করে আসছিলেন।
জন কিরবি আরো বলেন, ইরানে যেকোনো পরিবর্তন আনার দায়িত্ব সেদেশের জনগণের। তাদেরকেই তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত সমন্বয়কারীকে সাংবাদিকরা এ প্রশ্নও করেন যে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন কি এমন কোনো সম্ভাবনা থেকে এ বক্তব্য দিয়েছেন যে, ইরানের সরকার ব্যবস্থার পতন হতে যাচ্ছে? উত্তরে কিরবি বলেন, তেমন কোনো আলামত দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে জো বাইডেনের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি বলেন, ইরান ৪৩ বছর আগে মুক্ত হয়েছে এবং সেই মুক্তি এসেছিল মার্কিন আধিপত্যের কবল থেকে। কাজেই নতুন করে আর মুক্তির প্রয়োজন নেই।
Leave a Reply