অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ফরিদপুরের উপনির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। সংসদের মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে।
ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার (৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
গতকাল (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ২৬ দশমিক ২৪ শতাংশ ভোট পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের আর অল্প সময় আছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটাররা মনে করেন যে এখানে তো সরকারের কোনো পরিবর্তন হবে না। আর যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনিও কাজ করার তেমন একটা সময় পাবেন না। তাই ভোটারদের আগ্রহ কম। প্রার্থীদেরও তেমন আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের ক্ষেত্রে তো তেমন কোনো প্রার্থী বেশি ছিলেন না। মাত্র দুজন ছিলেন। একজন ছিলেন এক দলের। আরেকজন ছিলেন অন্য দলের। ওই দল বা প্রার্থী অতটা পরিচিত না। এ কারণেও নির্বাচনে যে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেটা ছিল না। আপনারা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও দেখবেন যে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। সেখানে কিন্তু ভোটের হার অনেক বেশি ছিল। পৌরসভায় ভোটের হার অনেক বেশি ছিল। কারণ সেখানে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সেখানে পাঁচ বছরের জন্য মেয়াদ। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে মেয়াদ বেশি থাকে, শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে, এজন্য সেখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। এটিই আমরা মনে করি। হয়তো গবেষণা করলে সঠিকটা বোঝা যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম থাকা মানে আশঙ্কাজনক বলা যাবে না। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভোটের যে আইন, কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে, এ ধরনের কোনো শর্ত নেই। এত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা অগ্রহণযোগ্য বলবেন, এটা বলার সুযোগ নেই। কিছু কিছু দেশে আছে, যে একটা ব্যাপক ব্যবধান থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেহেতু ওটা নাই। অতএব ভোট যদি শান্তিপূর্ণ হয় এবং নিয়ম মতো হয়, কোনো অনিয়ম না হয়, সব নিয়মকানুন যদি ফলো করে, তাহলে অবশ্যই তো গ্রহণেযোগ্য ভোট বলতে হবে।
Leave a Reply