December 4, 2025, 4:10 am
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ সরকারের জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছালো শ্রীলঙ্কায় ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির কোন সরকারি অনুমোদন নেই : বাণিজ্য উপদেষ্টা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ১ ঘন্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ইসি ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, ; হাসপাতালে  নতুন ভর্তি ৪৯০ আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট ভারতের কারাগার থেকে ৩০ বাংলাদেশিকে মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে পুশইন করলো বিএসএফ ঝিনইদহের কালীগঞ্জে ১ হাজার ৪২০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ ঝিনাইদহে চাঞ্চল্যকর মুরাদ হত্যা মামলার আসামি বাগেরহাটে থেকে গ্রেপ্তার করলো র‌্যাব সামরিক পদক্ষেপ থামাতে আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ লিও ১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিনকার্ড ও নাগরিকত্ব প্রক্রিয়া স্থগিত করলেন ট্রাম্প
এইমাত্রপাওয়াঃ

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারে ওআইসি সদস্যরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করল বাংলাদেশ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলা পরিচালনায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসির স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) জেদ্দায় রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহির বিষয়ে ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে এ সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী দাওদা জালো।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ তার সীমিত সাধ্যের মধ্যে আইসিজেতে মামলা পরিচালনার জন্য স্বেচ্ছাসেবী তহবিলে এরই মধ্যে পাঁচ লাখ ডলার দিয়েছে। আরও দুই লাখ ডলার দেওয়ার পথে রয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১২ লাখ রোহিঙ্গার দেখভালের পাশাপাশি নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলারে ভাসানচরে নির্মিত নতুন অবকাঠামোতে তাদের একাংশকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত আইসিজেতে মামলা পরিচালনার জন্য সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, কুয়েত, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, আফগানিস্তান এবং ইসলামিক সলিডারিটি ফান্ডসহ কয়েকটি দেশের স্বেচ্ছামূলক অবদান এবং অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, অনেক দেশের সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার পরও প্রাপ্ত অর্থ প্রয়োজনীয় পরিমাণ থেকে অনেক কম, তাই তিনি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য উদারভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজেতে মামলা দায়েরের জন্য গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদল, ওআইসি সদস্য রাষ্ট্র এবং ওআইসি সচিবালয়ের প্রতি রাষ্ট্রদূত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মাধ্যমে এর সমাধান একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয় এবং আমাদের অবশ্যই এর প্রতি নিবিড় কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে। এটি একটি বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রদানের প্রশ্ন যারা তাদের জাতিগত অস্তিত্বের অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গাম্বিয়ার দায়ের করা এ মামলার প্রতি আমাদের সবার পূর্ণ সংহতি, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে ২০১৭ সালে তিনটি চুক্তি সইয়ের পর মিয়ানমারে আমরা একজন শরণার্থীও ফেরত পাঠাতে পারিনি এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারিনি।

তিনি ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর যে আর্থসামাজিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হলে তার সুদূরপ্রসারী স্থানীয় ও আঞ্চলিক নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সার্বক্ষণিক সমর্থন কামনা করে। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যাওয়ার জন্য আইনি সহায়তা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার এবং মানবতার উন্নতির জন্য দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

সভার শুরুতে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারাধীন এই মামলাটির বর্তমান অবস্থা, এর বিভিন্ন দিক ও সামনের পরিকল্পনা সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, এই মামলাটি ওআইসি ও বিশ্বের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি প্রত্যাশা করেন, ২০২৪ সালের মধ্যে এই মামলাটি নিষ্পত্তি হবে। তিনি ওআইসির সব সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন ও মামলা পরিচালনার জন্য সহায়তা কামনা করেন।

ওআইসি মহাসচিব তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহয়তা প্রদান, তাদের অধিকার আদায়ে একযোগে কাজ করা ওআইসির নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি এ বিষয়ে ওআইসি সচিবালয়ের সার্বক্ষণিক সহয়তার আশ্বাস দেন ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন ও সহায়তার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে সৌদি আরব, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ক্যামেরুন, ফিলিস্তিন, মালদ্বীপসহ অন্যান্য দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page