অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমার বিশ্বাস আপনারাই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করবেন। আর এটা আমাদের জীবদ্দশার মধ্যেই হবে। নিজেদের পরিশ্রম, মেধা দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করবো। নিজের মধ্যে যদি আত্মবিশ্বাস ও দেশপ্রেম থাকে, তাহলে নিজের দেশের মানুষের জন্য সবকিছু করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘নিজের মধ্যে দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার চেতনা যদি না থাকে, তাহলে দেশের ভালো কিভাবে চাইতে পারি?’
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে সাভারের শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পদক বিজয়ী ও মনোনীতদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘আপনারা যে নিঃস্বার্থভাবে মানুষের জন্য, দেশের সেবা করছেন— এটা আমাদের সব নাগরিকের এবং বিশ্বের প্রতি একটি উদাহরণ। আপনাদের মতো তরুণ তরুণীরা নিজের প্রচেষ্টায়, কারও কাছে হাত না পেতে, নিজের মেধায়, নিজের চিন্তাধারায়, নিজের মতো অল্প হোক, বেশি হোক কাজ শুরু করে দিচ্ছেন। আপনারা কারও জন্য বসে নেই। এটাই হচ্ছে আমাদের চেতনা, আমাদের বিশ্বাস। আমার এই বিশ্বাসই ছিল যে, আমরা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি ‘
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বে অনেক সংকট চলছে, যুদ্ধ চলছে, সমস্যা চলছে । দুই বছর আগেই আমরা কোভিড মোকাবিলা করলাম। সেটি যেতে না যেতে যুদ্ধ, সবকিছুর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে। এসব নিয়েই আজকাল খবরে অনেক শোনা যায়, অনেকেই ভয়ে ভয়ে থাকেন যে— এই সমস্যা আমাদের দেশ কিভাবে মোকাবিলা করবে। এই তরুণরাই হচ্ছে মোকাবিলা করার উদাহরণ। সমস্যার শেষ থাকে না । এই ১৪-১৫ বছর যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তার মধ্যে আমরা কী কী সমস্যা দেখেছি। প্রথমেই ছিল বিদ্যুতের সমস্যা, তখন সবার চিন্তা যে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়, এটা আমরা কিভাবে সমাধান করবো, এটা তো সম্ভব না। তারপর অর্থনীতি, এত মানুষকে কিভাবে খাওয়ানো হবে, এই অর্থনীতিকে কিভাবে আগানো যায়। সেটাও আমরা করে দেখিয়েছি। তারপর এলো কোভিড, এটা নিয়ে সবাই ভয়ে ছিল। এটা ছিল সারাবিশ্বের আতঙ্ক। তবে কী দেখা গেলো, বাংলাদেশ নিজেদের মতো করে, নিজেদের পরিকল্পনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে এমনকি সবচেয়ে ধনী দেশ থেকেও আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। আমি গর্ব বোধ করি, যখন প্রত্যেক বছর জয় বাংলা পুরস্কার দেই, তখন যে এতগুলো সংগঠন এগিয়ে আসে, আবেদন করে।’
জয় বলেন, ‘প্রথম বছর ২০০ সংগঠনের মতো আবেদন করেছিল। প্রত্যেক বছর এটা বাড়ছে। এখন সাড়ে তিন লাখ আমাদের প্রতিনিধি আছে। যারা সারা দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আজ নিজের এত আনন্দ লাগছে যখন দেখি যে, আমাদের দেশে রোবটিক হাত বানানো হচ্ছে। এটা অসাধারণ। আমাদের দেশ থেকে প্রতিনিধি যাচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জের জন্য, এটা অসাধারণ। আপনারা সবাই অসাধারণ কাজ করছেন। আমাদের দেশ একটি অসাধারণ দেশ। এই অল্প জায়গার মধ্যে মানুষকে আমরা স্বাধীন করেছি নিজের রক্ত দিয়ে। এই ১৬ কোটি মানুষকে ১০-১৫ বছরে আমরা দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছি। এই তরুণ তরুণীরা, পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ, দেশকে আপনারাই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।’
Leave a Reply