অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে এক বাংলাদেশি-মার্কিন নাগরিকের উদ্যোগ ও তত্বাবধায়নে পরিচালিত হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ভার্জিনিয়ায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামের প্রতিষ্ঠানটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরিও নিশ্চিত করছে। ফলে বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল কর্মসংস্থানের।
২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় যাত্রা শুরু। ২০২১ সালে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির দায়িত্ব নেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি ও এমবিএ-বিবিএ কোর্সে বর্তমানে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ৪ শতাধিক বাংলাদেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষক আনা হয়েছে। তারা একাধারে বিশেষজ্ঞ ও পেশাদার।
এখানে রয়েছে ৫০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের চাকরি খুঁজে দিতে রয়েছে বিশেষ সেল।
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবু বকর হানিফ বলেন, “আমরা টিউশন ফি অ্যাফোডেবল করেছি, স্কিল বেইজ এডুকেশন প্রোবাইড করছি। যাতে শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশুনা করে আমেরিকার কর্পোরেট অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারছে। যদি বাংলাদেশে ফেরত যায় সেখানে তারা বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করতে পারবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ফারহানা হানিফ বলেন, “তারা বিভিন্ন দেশের স্টুডেন্টদের সঙ্গে মিশতে পারছে, তাদের কালচার সম্পর্কে জানতে পারছে এবং এখানে প্রত্যেক দেশের কালচারাল ইভেন্টও হয়। সুতরাং আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বড় সুযোগ।”
অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে আইটি ও সাইবার সিকিউরিটিতে পড়াশোনার সুযোগ।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৫৯৭ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
Leave a Reply