অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সিরিয়ার আল-হাসাকাহ প্রদেশে এক মিলিয়নেরও বেশি সিরীয় নাগরিকের পানি বন্ধ করার তুরস্কের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে আন্ত-আরব পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন।
আন্ত-আরব পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে যে কোনো অজুহাতে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে পানি ব্যবহারকে তারা নিন্দা জানাচ্ছে। একইসঙ্গে ইউনিয়ন মনে করে যে সিরিয়ায় বারবার পানি বন্ধ করার তুরস্কের পদক্ষেপ কোনোভাবেই সুপ্রতিবেশীমূলক আচরণ নয় এবং তা মানবাধিকার নীতিকে লঙ্ঘন করে। সিরিয়ার নাগরিকদের জীবন নিয়ে তুরস্কের পদক্ষেপের বিপজ্জনক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করার একই সময়ে এই ইউনিয়ন সিরিয়ার নাগরিকদের পানি সরবরাহের পাশাাপাশি এই মানবিক বিপর্যয়ের অবসানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত এবং টেকসই সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। আরব দেশগুলির সাথে যুক্ত ইউনিয়নগুলোর খুব বেশি নির্বাহী ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও সিরিয়ার সরকার এবং জনগণের প্রতি আরব দেশগুলোর সমর্থনের প্রেক্ষাপটে এই বিবৃতি জারিকে একটি ইতিবাচক বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। এই বিষয়ে ইউনিয়নের বিবৃতি জারি করার অর্থ হল তুর্কি সরকার আবারও ভুল করেছে এবং সিরিয়ার শহরগুলোর অব্যাহত দখলদারিত্ব থেকে প্রত্যাহার করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।
এদিকে, আঙ্কারা সরকারের বিরোধী দলগুলোর প্রধান এবং রাজনীতিবিদদের সহায়তায় রজব তাইয়্যেপ এরদোগান সরকারের কর্মকর্তারা সম্প্রতি বাশার আল-আসাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য সিরিয়া সফর করে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যে রজব তাইয়্যেপ এরদোগান সরকার সিরিয়ায় বিদেশী মদদপুষ্ট সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে সিরিয়ায় একটি বিদেশি সরকারের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এরদোগান সরকার। যদিও এরদোগান সরকার বেশ কয়েকবার ঘোষণা করেছে যে তারা বাশার আল-আসাদের সরকারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা তা থেকে পিছিয়ে যায় এবং প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে সিরিয়া সম্পর্কে আরেকটি মন্তব্য করেছিলেন। এই নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করলেন এরদোগান। এই তুর্কি রাজনীতিবিদ পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, “তিনি ব্যক্তিগতভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে দেখা করতে এবং কথা বলতে ইচ্ছুক।”
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যিনি নিজেকে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বলে মনে করেন সম্প্রতি একই বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতে চিরকাল ক্ষোভ ধরে রাখা সম্ভব নয়। সঠিক সময়ে যে কেউ পুর্নমূল্যায়ন করতে পারে, পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে জুনে নির্বাচনের পর আসুন আবার নতুন করে শুরু করি এবং আমাদের পথে এগিয়ে যাই।
Leave a Reply