বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন বিষয়ক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইনে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
এমএএন সিদ্দিক বলেন, “আমরা ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেট্রোরেল উদ্বোধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সময় বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলেছে।”
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আগামী ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমআরটি লাইন-৬ এর উদ্বোধন করবেন।
এদিকে, মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১-এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এ ভূমির চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য খরচ হবে ১০০ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা।
মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, সাপ্তাহিক, মাসিক, পারিবারিক কার্ড আগে থেকে কিনতে হবে। মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে থাকা মেশিনেও কার্ড রিচার্জ করা যাবে। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় যাত্রীদের কার্ড পাঞ্চ করতে হবে, তা না হলে দরজা খুলবে না। এরপর নেমে যাওয়ার সময় আবার কার্ড পাঞ্চ করতে হবে, তা না হলে যাত্রী বের হতে পারবেন না।
Leave a Reply