26 Nov 2024, 02:43 pm

ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র সরবরাহে রোমানিয়া বৈঠকে ন্যাটোর অঙ্গীকার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রোমানিয়ায় দুইদিনের বৈঠকে বসেছে ন্যাটোর সদস্যরা। ইউক্রেন চায় আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ন্যাটোর বৈঠকের প্রথম দিন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আরো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রয়োজন। আইআরআইএস, হকস, প্যাট্রিয়টের মতো সিস্টেম প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রয়োজন ট্রান্সফরমার ও জেনারেটর।’

বস্তুত, গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও গ্যাসের মজুত লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের অভিযোগ, শীতকালে ইউক্রেনের মানুষকে ঠাণ্ডায় মেরে ফেলতে চাইছে রাশিয়া। সে জন্যই নির্দিষ্টভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ন্যাটোর বৈঠকেও সেই একই প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ জানান, রাশিয়া বুঝে গেছে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে তারা এই যুদ্ধ জিততে পারবে না। একের পর এক অঞ্চল তাদের হাতছাড়া হয়েছে। তাই এখন ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষের উপর আক্রমণ শুরু হয়েছে। নষ্ট করা হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

কুলেবা জানিয়েছেন, ট্রান্সফরমার ও জেনারেটরের সাহায্যে সমস্ত নাগরিকের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নষ্ট করা হলেও মানুষ যাতে আলো পান, হিটার চালাতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে। এই কারণেই ন্যাটোর কাছে ট্রান্সফরমার ও জেনারেটর দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।

কুলেবা বলেন, ‘ট্রান্সফরমারের সাহায্যে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করব এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে রাশিয়ার রকেট ধ্বংস করবো, যাতে তারা আর আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস করতে না পারে।’

স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, প্রথম দিনের বৈঠকে ন্যাটোর দেশগুলো ইউক্রেনকে আরো বেশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিতে সম্মত হয়েছে। বস্তুত, এর আগে জার্মানির কাছে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চেয়েছিল ইউক্রেন। অত্যাধুনিক এই সিস্টেম ন্যাটোর অনুমোদন না নিয়ে জার্মানি ইউক্রেনকে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল।

এদিনের বৈঠকে সে বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ন্যাটোর সমস্ত দেশই একটি বিষয়ে সহমত হয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ জয় করার মতো জায়গায় আর নেই। সে কারণেই তারা আবহাওয়াকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

এদিকে আরো একটি প্রসঙ্গে এদিনের বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। ২০০৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রথম বলেছিলেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা হোক। রাশিয়ার তীব্র আপত্তি থাকলেও ন্যাটোর প্রায় সব দেশই তাতে সম্মতি জানিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা দেয়া হয়নি।

এদিন স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে ফের আলোচনা হয়েছে। সকলেই সহমত হয়েছেন এ বিষয়ে। তবে এদিনও কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা স্থির করা হয়নি।

বস্তুত, সম্প্রতি সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ম্যাসিডোনিয়া ও মন্টিনেগ্রোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনকেও ন্যাটোয় ঢোকানো উচিত বলে মনে করছে অন্য দেশগুলো। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা স্থির করা যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 11570
  • Total Visits: 1317936
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ২৩শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, দুপুর ২:৪৩

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018