অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শীত জেঁকে বসতেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর। দক্ষিণের খেরসনসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পূর্ব দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। কিয়েভসহ একাধিক শহরের জ্বালানি সেক্টরকে লক্ষ্যবস্তু করায় ইউক্রেনের অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বুধবার (৩০ নভেম্বর) বলেছেন, বেসামরিক অবকাঠামো রক্ষার্থে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ৯ মাস চলছে, কিন্তু অর্জনের খাতা অনেকটাই শূন্য মস্কোর। কিছু জায়গায় দখলে নিলেও এখন হাতছাড়া হচ্ছে। ফলে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে চলমান অভিযানে মনোবল ভেঙে পড়েছে রুশ বাহিনীর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনিও ব্লিংকেন বলছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের ওপর তার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তবে তার এ ধরনের কৌশল ইউক্রেনের জনগণকে বিভক্ত করতে ব্যর্থ হবে বলে মনে করেন তিনি।
বুখারেস্টে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের শীর্ষ সম্মেলনের পর সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও পানি.. এসব এখন পুতিনের নতুন লক্ষ্যবস্তু। তিনি তীব্রভাবে হামলা করাচ্ছেন। এটি ইউক্রেনের জনগণের প্রতি চরম বর্বরতা।
ন্যাটোর পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঘোষণা এসেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পশ্চিমা জোটটির কাছে দীর্ঘদিন ধরেই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে আসছেন।
পুতিন ঘনিষ্ঠ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনা দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সংকট সমাধানে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কোনভাবেই আগ্রহী নয় ন্যাটো।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত ডনেস্ক। এটি ডনবাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পোন্নত শহর। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বুধবার রাতে বিবৃতিতে বলেন, ডোনেস্ক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি লড়াই হচ্ছে। রুশ বাহিনী আরও অগ্রগতির চেষ্টা করছে। বাখমুত পার্শ্ববর্তী সোলেদার এবং ওপিটনসহ কয়েকটি শহরে গোলাবর্ষণ থেমে নেই।
এদিকে দক্ষিণ ফ্রন্টে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছে রুশ বাহিনী। আঞ্চলিক রাজধানী খেরসনে মর্টার ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে প্রায় সময়। খেরসনের একাংশ থেকে গত নভেম্বরে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্য ইউক্রেনে রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভারী লড়াই চলছে। যদিও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। সূত্র: রয়টার্স
Leave a Reply