অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কক্সবাজারে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে মন্তব্য করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ।
তারা বলেন, ২০১৭ সালে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি মতে কক্সবাজারে গত ১৪ বছরে সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২৮টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে আরও প্রায় ৪৫টি প্রকল্প।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জনসভাস্থলের পাশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে দলের নেতারা এ সব কথা বলেন।
তারা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে সারা বছরের জন্য বার্ষিক বাজেট ছিল ৬৯-৭০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেবে বিএনপি আমলের চার বছরের বাজেটের বেশি টাকা কক্সবাজারের উন্নয়নে ব্যয় করছে আওয়ামী লীগ সরকার। চলমান প্রকল্পের সিংহভাগ কাজই শেষ হয়েছে। অতীতে আওয়ামী লীগকে কক্সবাজারবাসী তেমন কিছু না দিলেও সরকারের প্রকল্পের কৃতজ্ঞতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা সবার দায়িত্ব।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজারের মানুষ না চাইতেই প্রধানমন্ত্রী সব কিছু দিয়েছেন। বর্তমানে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেললাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কক্সবাজারে।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে নতুন করে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সঙ্গে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া মগনামার মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণের দাবি জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের এগিয়ে যাওয়া বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের পছন্দ নয়। তাই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। আন্দোলনের নামে তারা সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অরাজগতা সৃষ্টি করে দেশের শান্ত পরিস্থিতি বিনষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, গেল ১৪ বছরে আটবার কক্সবাজার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। কক্সবাজারের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। অথচ বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দেশের বাজেট করেছিল ৬৯ হাজার কোটি টাকা। ভেবে দেখুন বিএনপির আমলে দেশের যত টাকা বাজেট ছিল কক্সবাজার উন্নয়নে তার চেয়ে কতগুণ বরাদ্দ বেশি দিয়েছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শুধু কক্সবাজারের জনগণ নয়, পুরো দেশের মানুষ সুবিধা পাবে। দূর হবে বেকার সমস্যাও।
সংবাদ সম্মেলন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুন ও উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি এথিন রাখাইন, রেজাউল করিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রণজিত দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাবেক কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ, পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, এম এ মনজুরসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply