অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনি জনগণের স্বশাসনের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব পাস করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাসের প্রবাসী পলিটব্যুরোর সদস্য হিশাম কাসেম বলেছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এর আগে জাতিসংঘে যেসব প্রস্তাব পাস হয়েছিল এবারের প্রস্তাবটি তারই ধারাবাহিকতা। এছাড়া ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীকার আদায়ের যে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে তাও সকল আন্তর্জাতিক কনভেনশনে আগেই স্বীকার করা হয়েছিল।
হিসাম কাসেম বলেন, জাতিসংঘে প্রস্তাবটির পক্ষে বিপুল ভোট পড়ায় বোঝা যায়, ইহুদিবাদী দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীকার পাওয়ার সময় এসে গেছে। সেইসঙ্গে গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী উপনিবেশবাদীরা ফিলিস্তিনে যেসব অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে তারও বিচার করার সময় হয়ে গেছে।
যেসব দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে কিংবা ভোটদানে বিরত থেকেছে তিনি তাদেরকে তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। হামাসের এই নেতা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য এ ধরনের প্রস্তাব বেশি বেশি পাস হওয়া প্রয়োজন।
গত বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমি এবং জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর সিরিয়া ও ফিলিস্তিনি জনগণের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। প্রস্তাবটির পক্ষে ১৫৯ দেশ ভোট দেয়, বিপক্ষে ভোট পড়ে আটটি এবং ১০টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। যে আট দেশ ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সেগুলো হলো- আমেরিকা, কানাডা, ইসরাইল, চাদ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু ও পালাউ।
Leave a Reply