অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শক্তিশালী তুষারঝড়ের কবলে আমেরিকার অন্তত ২০ কোটি মানুষ। বরফে ঢেকে গেছে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সড়ক, নৌ ও ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্রিসমাস উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রবল তুষারঝড়ের কারণে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন অন্তত ১৫ লাখ মানুষ। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষগুলো।
ভয়াবহ এই তুষারঝড় টেক্সাস থেকে কুইবেক পর্যন্ত ২ হাজার মাইল (৩ হাজার ২০০ কিমি) এরও বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। একটি বোম্ব সাইক্লোন যাকে বলা হয়, যখন বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কমে যায়, তখন মার্কিন-কানাডা সীমান্তের গ্রেট লেকগুলোতে এই প্রবল তুষারঝড় শুরু হয়।
কানাডায় অন্টারিও ও কুইবেকও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন, কয়েক হাজার স্থাপনা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সেখানেও।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে নিউফাউন্ডল্যান্ড পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশই প্রচণ্ড ঠান্ডা ও শীতকালীন ঝড়ের সতর্কতার অধীনে রয়েছে।
ইউএস ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস), শুক্রবারের ভয়াবহ পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে। তারা বলছে, মন্টানা অঙ্গরাজ্যের এলক পার্কে তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। মিশিগানের হেল শহর কয়েক ইঞ্চি তুষারে ঢেকে গেছে। শুক্রবার রাতে সেখানে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হেল শহরে সেলুন কর্মী এমিলি বিবিসিকে বলেন, ‘এখানে বেশ ঠান্ডা। আমরা যেন নরকে সময় কাটাচ্ছি।’
দক্ষিণ ডাকোটা অঙ্গরাজ্য ব্যাপক তুষারঝড়ের কবলে পড়েছে বহু মানুষ। নেটিভ আমেরিকানরা সেখানে কাপড় পুড়িয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছেন।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পাঁচ হাজার ৬০০ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং আরও ৭ হাজার ৬০০টি বিলম্বিত হয়েছে। যেখানে ক্রিসমাস উপলক্ষে সবাই বাড়ি ফেরার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করছেন। সূত্র: বিবিসি
Leave a Reply