অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের জন্য নতুন করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। ১ দশমিক ৬৬ ট্রিলিয়ন সরকারি ফান্ডিং বিলের অংশ হিসেবে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেই মস্কো জ্বালানি তেলের উত্পাদন কমানোর হুমকি দিয়েছে। এতে করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ফের বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের জন্য আর্থিক সহায়তার খবর জানতে পেরে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই খবর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই ইউক্রেনের সংগ্রামের পাশে রয়েছে। চলমান যুদ্ধের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জো বাইডেন তখন জেলেনস্কিকে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যত দিন প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্র তত দিন ইউক্রেনের পাশে থাকবে। জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে বাইডেন বলেন, আপনি একা নন। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের উত্পাদন কমানোর হুমকি দিয়েছে মস্কো। শুক্রবার রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, ২০২৩ সালের শুরু দিকে তেলের উত্পাদন ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমানো হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। রুশ তেলের ওপর পশ্চিমাদের মূল্যসীমা নির্ধারণের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপের খবর সামনে এলো। ইউক্রেনের ওপর হামলার জেরে পশ্চিমারা রুশ তেলের ওপর মূল্যসীমা নির্ধারণ করে।
আলেকজান্ডার নোভাক জানিয়েছেন, দৈনিক তেলের উত্পাদন কমানো হতে পারে ৫ থেকে ৭ লাখ ব্যারেল। তিনি বলেন, রাশিয়ার তেলের ওপর ইউরোপের নির্ভরশীলতা কমানো সত্ত্বেও বিশ্ব জুড়ে রাশিয়ার তেলের চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া ক্রেতাদের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনছে মস্কো।
নোভাক বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি ছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া ইউরোপে গ্যাসসংকটেরও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply