অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত। দেশের সর্বউত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় মধ্যপৌষেই যেন মাঘের কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এর তীব্রতা দিন দিন বাড়ছেও। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে পুরো এলাকা ঢেকে থাকছে। এ কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনকে চলতে হচ্ছে। দূরপাল্লার পরিবহণও ধীরগতিতে চলছে। পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার ধারে আগুন জ্বালিয়ে সাধারণ মানুষকে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয় সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষ।
কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যার আগেই গ্রামীণ হাট-বাজার ও সড়ক জনশূন্য হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশায় ভোরে চারপাশ ঢেকে যায়। ভোর ৬টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন দিনের আবহাওয়ার হিসাবে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে।
সিলেটে মঙ্গলবার সকালে পুরো জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আরও দু-একদিন বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। জানুয়ারির শুরুতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
ঘন কুয়াশা ও কনকনে হিমেল হাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের পাঁচ উপজেলার জীবনযাত্রার ছন্দপতন ঘটেছে। পাহাড়ি এলাকা ও চরাঞ্চলের মানুষ সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে অনেক মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। ঘন কুয়াশায় সামান্য দূরের বস্তু দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কমেছে। শ্রমজীবী মানুষের আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় তারা খুবই বেকায়দায় পড়েছেন।
Leave a Reply